ইংল্যান্ডের উইন্ডসর ক্যাসেলের এক হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হল উন্মুক্ত ইফতার। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার রমজান টেন্ট প্রজেক্ট এবং রয়্যাল কালেকশন ট্রাস্টের সহযোগিতায় আয়োজিত এই ইফতারে উপস্থিত ছিলেন ৩৬০ জনের বেশি মানুষ। ১৪ শতকে নির্মিত এই দুর্গে ইফতারের আয়োজনে উপস্থিত একজন অতিথি বিবিসিকে বলেন, চমৎকার এক পরিবেশ। অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা, বাস্তব বলে মনে হচ্ছিল না আমার। এ দুর্গের সেইন্ট জর্জ হল সাধারণত রাষ্ট্রপ্রধানদের আপ্যায়ন ও বিশেষ ভোজের জন্য ব্যবহৃত হয়। রোববার সেখানেই ধ্বনিত হল আজান। পরে সমবেতদের মধ্যে পরিবেশন করা হয় ইফতার। খেজুরসহ নানা ধরনের খাবার ছিল সেখানে। ইফতারের পাশাপাশি নামাজের আয়োজনও ছিল। খবর বিডিনিউজের।
উইন্ডসর ক্যাসেলের ভিজিটর অপারেশনস বিভাগের পরিচালক সাইমন ম্যাপলস জানান, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। ইফতারে অংশ নেওয়া একজন নারী বলেন, রাজপরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বাসভবন আমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া নিঃসন্দেহে উদারতা ও সৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ। আরেকজন বলেন, আমরা কখনও কল্পনাও করিনি যে এখানে বসে ইফতার করব। আমরা সত্যিই অনেকদূর এগিয়েছি। প্রথমবারের মত উইন্ডসর ক্যাসেলে আসা একজন বলেন, দারুণ এক অভিজ্ঞতা। প্রথমবার এখানে আসা এবং সবার সঙ্গে বসে ইফতার করা– অসাধারণ অনুভূতি। উপস্থিত একজন ব্রিটিশ রাজাকে রমজান মাসে তাদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, যে কোনো দিন, যে কোনো সময় রাজা আসতে পারেন। রমজান মাস ৩০ দিনের, আপনি যখন চাইবেন, আমাকে জানাবেন, রাজার উদ্দেশ্যে বলেন তিনি।
রমজান টেন্ট প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ওমর সালহা বলেন, সম্প্রীতির মেল বন্ধনের এক অনন্য নজির ব্রিটিশ রাজা। তিনি বলেন, ব্রিটিশ মুসলমানদের প্রতি তার এ সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বিবিসি লিখেছে, সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যই ইফতারের আয়োজন উন্মুক্ত। পুরো রমজান মাস জুড়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের আয়োজন চলবে।