রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় শিশুসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় এবার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ২৭০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০–১৫০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন। বাদীর আইনজীবী চট্টগ্রাম বারের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাউজানের সাবেক সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিপ্লব বড়ুয়া, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নূর মোস্তফা টিনু, এছারুল হক, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, খালেদ মাহমুদ, শৈবাল দাশ সুমন, নুরুল আজিম রনিসহ রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ পৌরসভার মেয়র, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর লেলাং পাহাড় এলাকায় ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ এই কুচক্রী মহল মাটি কাটার সময় একজন শিশুসহ তিনজন ব্যক্তি পাহাড়ের মাটি চাপায় মারা যান। নিহতরা হলেন মো. আমির আলী (৩৩), দিদারুল আলম (২৫) এবং মো. আকিব (১০)। তাদের মৃত্যুর জন্য তারা সরাসরি দায়ী। সে সময় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাইনি।
মামলার বাদী উত্তরজেলা যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, ড. হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার আশ্রয়ে পালিত সন্ত্রাসীরা বন সম্পদ উজার করে, পাহাড় কেটে সম্পদের পাহাড় গড়ে। তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে পাহাড়ের মাটি কাটার সিন্ডিকেটরা মাটি কেটে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানির নির্মিত প্রজেক্টে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করে আসছে। তাদের এমন কর্মযজ্ঞে পাহাড় কাটতে গিয়ে শিশুসহ তিনজন মানুষ মারা গেলেও কোন বিচার পাইনি। তাই দীর্ঘদিন পরে হলেও নিহতের পরিবার যেনো সঠিক বিচার পাই, তাই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।