নগরীর সদরঘাটের নেভাল–২ এলাকায় হাঁটতে গিয়ে ৭৭ বছর বয়সী নারী মঞ্জু সেন খুনের দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দুই যুবক হলেন, ভোলার দৌলতখানের মো. রুবেল ও চট্টগ্রামের আনোয়ারার মো. আব্বাস। গতকাল চট্টগ্রামের ষষ্ট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজুম মুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আব্বাস কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি রুবেল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া আজাদীকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। পাশাপাশি লাশ গুমের অভিযোগ প্রামাণিত হওয়ায় তাদেরকে অপর একটি ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের খোয়া যাওয়া স্বর্ণালংকারের ক্রেতা ফরহাদ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন বলেও জানান তিনি।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৫ মে সদরঘাট থানাধীন নেভাল–২ এলাকায় প্রতিদিনের ন্যায় হাঁটতে গিয়ে খুন হন মঞ্জু সেন। তার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে আসামিরা পরিত্যক্ত একটি ভবনের পাশের ঝোঁপের মধ্যে তার লাশ ফেলে দেয়। এ ঘটনায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরী পরে হত্যা মামলা দায়ের করেন মঞ্জু সেনের ছেলে রতন কান্তি সেন। মামলার এজহারে বলা হয়, সকাল ছয়টায় বের হয়ে প্রতিদিন আটটায় বাসায় ফিরলেও ঘটনার দিন ফেরেননি। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ভিকটিম ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকার বাসিন্দা এবং নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় বসবাস করতেন বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়। আদালতসূত্র জানায়, মামলা তদন্ত শেষে একই বছরের ১১ অক্টোবর পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে চার্জগঠন করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।