হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ১০ জুলাই, ২০২১ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

আই হেইট পলিটিক্স
‘আই হেইট পলিটিক্স’। না, এ আমার কথা নয়। এই ‘প্রপোজিশনে’ আমি বিশ্বাস করিনে। রাজনীতির-বাইরে আমরা কেউ নই, কম-বেশি, ঘরে-বাইরে। খুব কম লোকই আছেন যারা এই ‘বলয়’ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বাইরে রাখতে পেরেছেন। তবে রাজনীতি না-করা বা রাজনীতি থেকে দূরে থাকা মানে এই নয় দেশকে ভালোবাসা নয়। একেবারেই নয়। কোন সরকারকে কারো পছন্দ না হতে পারে, কিন্তু দেশের প্রতি তার ভালোবাসা, আনুগত্য থাকবেই। না থাকলে তার সে-দেশে থাকার কোন অধিকার থাকেনা বলে আমার ধারণা। এই প্রসঙ্গে এক লেখায় আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েনের উদ্ধৃতি টেনে বলেছিলাম, ‘দেশের প্রতি আনুগত্য- সেটি সব সময় থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সরকারের প্রতি আনুগত্য, সেটি কেবল তখনই, যখন সেই সরকার আনুগত্য পাবার যোগ্য’। কথাগুলি উঠে এলো ‘আই হেইট পলিটিক্স’ এই শিরোনামে সমপ্রতি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটি বই পড়তে গিয়ে। তরুণ লেখক নুরুন্নবী আলীর সম্পাদনায় বইটি সপ্তাহ কয়েক আগে ডাকযোগে হাতে এলো। চট্টগ্রামের এই নানা-বিষয়ে উদ্যোগী তরুণ নুরুন্নবী আলী স্থায়ীভাবে থাকেন লন্ডনে। বছরের শুরুতে জানিয়েছিলেন উল্লেখিত শিরোনামে তিনি একটি বই প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছেন। অনুরোধ জানালেন একটি ‘লেখা’ পাঠানোর জন্যে। রাজনীতি কোন কালেই করিনি, স্কুল বয়স থেকে, যদিও সমর্থন ছিল কোন না কোন দলের প্রতি, নীতিগত কারণে। যে বয়সে আমার রাজনীতির সাথে পরিচিত হওয়া, যারা রাজনীতি করতেন তাদের সেই সময়কার এবং আজকের রাজনীতি ও আজকের-দিনে যারা রাজনীতি করেন – এই দু’য়ের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। ছাত্র-রাজনীতির সাথে আমার প্রথম পরিচয় স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় চট্টগ্রাম কলেজে। আমাদের সিনিয়র যারা ছাত্র-রাজনীতি করতেন তাদের বেশির ভাগ বিদ্যা-বুদ্ধি, ব্যক্তিত্বে ছিলেন অনুকরণযোগ্য। ওনাদের দেখে মনে হতো রাজনীতি করতে হলে বুঝি ভাল ছাত্র হতে হয়, ত্যাগ থাকতে হয়, থাকতে হয় সাহস। এর কোন গুণই আমার ছিলনা, ফলে সেদিকটা আমার যাওয়া হয়ে উঠেনি। পরবর্তী সময়ে যাদের কাছ-থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর অতি ঘনিষ্ঠজন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। তখন তিনি প্রধান মন্ত্রী। এর পর পেশাগত কারণে কাছ থেকে দেখেছি ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ, অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ এবং আরো জনা কয়েককে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়লে যে কোন পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন সে-সময়কার রাজনীতি আর আজকের রাজনীতিতে কী-পরিমান ফারাক। সমাজের নানা ক্ষেত্রের মত রাজনীতিতেও এখন অবক্ষয়। শিক্ষিত ও আমাদের চোখে ‘ভালো মানুষেরা’ রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে শুরু করেছেন। মাঠে কোনোদিন নামেননি, তৃণমূল পর্যায়ে কোন ‘শেকড়’ নেই তেমন লোকজন এবং রুই-বোয়াল কিসিমের কিছু ব্যবসায়ী রাতারাতি হয়ে উঠলেন রাজনীতিবিদ, জনগণের ‘ভাগ্যবিধাতা’। সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী শ্রেণীর সমাগম ‘সুনামির’ মত এলো দেশের রাজনীতিতে। ভেসে গেলো এই ‘ভালো-মানুষ’ আর ‘পরীক্ষিত’ রাজনীতিবিদরা। টিকে রইলো হাতেগোনা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এই সুবিধাভোগীর দল, যারা রাজনীতিকে ব্যবহার নয়, অপব্যবহার করতে শুরু করে নিজের স্বার্থে, দেশ-দশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে। ফলে রাজনীতির সাথে সাধারণ জনগণের দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং বেড়ে চলেছে দিনদিন।
এই যখন দেশের বর্তমান রাজনীতির দশা সেই সময় নুরুন্নবী আলীর এই ভিন্নধর্মী-শিরোনামের বইটি দৃষ্টি কাড়ে বৈকি। বইটি প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ থেকে। লেখক কথা দিয়েছিলেন বইটি ছাপার পর ডাকযোগে পাঠাবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন এবং সুদূর চট্টগ্রাম থেকে সাধারণ ডাকযোগে (ডিএইচএল নয়) হল্যান্ডে আমার ঠিকানায় এসে পৌঁছায়। প্রশংসা করি আমাদের ডাক বিভাগকে। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম এই বই সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আমার কাছে এসে পৌঁছুবে না। যাই হোক- পড়ার ‘সিরিয়ালে’ অনেক বই ‘অপেক্ষমান’, নামী-দামী লেখকদের, যা গেলবার দেশ ও কলকাতায় গেলে কিনেছিলাম। দেশে গেলে এই কাজটি (বই কেনা) করা হয় আমার। আমার সেরা উপহার। যদি কেউ বই উপহার দেয় ভালো লাগে, কেবল ভালো লাগা নয়, খুব ভালো লাগে। যেদিন নুরুন্নবী আলীর এই বইটি হাতে এলো তার দিন দুয়েক পর বাড়ির পেছনের ছোট্ট বাগানে চেয়ারে বসে পড়া শুরু করি। রৌদ্রস্নাত দিন। ভেবেছিলাম একটু নাড়াচাড়া করে রেখে দেব এবং সিরিয়ালে অপেক্ষমান কোন একটিকে টেনে নেব। কিন্তু বইটির ভেতর প্রবেশ করে দেখলাম তাতে দেশের রাজনীতিতে ঘটে-যাওয়া অনেক ঘটনা, ঐতিহাসিকও বটে, যা চুম্বকের মত পাঠককে ধরে রাখতে পারে, আমাকেও। ছোট ছোট ঘটনা কিন্তু রাজনৈতিক গুরুত্বে উল্লেখযোগ্য। যেমন এক জায়গায় দেখি, বাংলাদেশের ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ শিরোনামে লেখাটি। “আইয়ুব খান মেইড এ মিসটেইক, হিস্‌ শুড হ্যাভ কিল্ড মুজিব’- কথাটা বলার পর এক সেকেন্ড দেরি হলো না। রকিবুল হাসানের প্রচণ্ড ঘুষি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো পাকিস্তানী ক্রিকেটার কামরান রশিদ। তারপর শুরু হলো ভয়ংকর পিটুনি। অবশেষে রক্তাক্ত কামরান জীবন ভিক্ষা চেয়ে রকিবুলের হাত থেকে বেঁচে যান। সময়টা ছিল স্বাধীনতার এক বছর আগে, ১৯৭০ সাল, পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে সে সময় পাকিস্তান-অনূর্ধ্ব ২৫ দলের ক্যাম্পে এক আড্ডায় এই ঘটনা ঘটে। রকিবুল তখন ১৮ বছরের টগবগে তরুণ।” নুরুন্নবীর বর্ণনায় পাই, কোর্ট মার্শালে প্রশ্নের উত্তরে রকিবুল হাসান বলেন, ‘ও আমার নেতাকে গালিগালাজ করেছে। যতবার গালি দেবে ততবার আমি এমনটি করবো’। কেবল তাই নয়, একই বর্ণনায় পাই, ১৯৭১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক একাদশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট ম্যাচ। পাকিস্তানের সব খেলোয়াড়কে দেয়া হয়েছে আইয়ুব খানের নির্বাচনী প্রতীক ‘তলোয়ার’-স্টিকার লাগানো ক্রিকেট ব্যাট। বন্ধু শেখ কামালের সাথে পরামর্শ করে তিনি রাতেই তার ব্যাটে লাগালেন ‘জয় বাংলা’-স্টিকার, তলোয়ারের পরিবর্তে। পরদিন বিশ্ব জুড়ে পত্র-পত্রিকায় বড় বড় হেডিং, ‘পাকিস্তানের হয়ে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার নিয়ে মাঠে নেমে দুনিয়া চমকে দিলেন রকিবুল হাসান’। দেশের প্রতি কী গভীর ভালোবাসা ও কী পরিমান সাহসী হলে এমনটি কোন খেলোয়াড়ের পক্ষে করা সম্ভব।
নুরুন্নবীর এই ১৮৪ পৃষ্ঠার বইয়ে সাতচল্লিশের ভারত ভাগ থেকে শুরু করে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ছয় দফা, বঙ্গবন্ধু, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম-ভিক্তিক রাজনীতি, স্বাধীন বাংলাদেশ : কেমন ছিল ৭৫ থেকে ৮১, বাংলাদেশের রাজনীতি বিভক্ত দুই ধারা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা, পাশাপাশি প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধ ঠাঁই পেয়েছে। কিছু কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ আছে এতে যা গোগ্রাসে গিলতে হয়, শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করেনা, পাঠককে ধরে রাখে। ফেলে আসা বাংলাদেশের ইতিহাস, যা আমাদের অনেকের কাছে অজানা বা ভুলে যাবার পথে তা নুতন করে তুলে ধরেছেন লেখক। সেই নিরিখে নুরুন্নবী যে একটি বড় দায়িত্ব পালন করেছেন তা নির্ধিদ্বায় বলা যেতে পারে। বইয়ে উল্লেখ আছে, পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ ফেরার পথে প্লেনের সিঁড়িতে ভুট্টো খুব নরম সুরে বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘কোনো একটা সম্পর্ক কি আমাদের মধ্যে রাখা যায় না?’ বঙ্গবন্ধু কিছুটা বিচলিত ভুট্টোর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দেখো ভুট্টো, আমি এইসব নিয়ে এখন একদমই আলোচনা করতে চাইনা। তোমার যা প্রস্তাব আছে সেটার উত্তর আমি বাংলাদেশের মাটিতে নামার সাথে সাথে তোমাকে দেব।’ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে ভুট্টোর সেই কথার জবাব দিলেন- ‘দুই স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকে সেই সম্পর্ক থাকবে। তুমি তোমার দেশ নিয়ে সুখে থাকো।’
কবিদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু শীর্ষ অংশে লেখক বলেন, বাংলাদেশের কবিদের মধ্যে কবিতায় প্রথম বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হয় নির্মলেন্দু গুণের ‘প্রচ্ছদের জন্য : শেখ মুজিবুর রহমানকে’ শিরোনাম কবিতায় যার প্রকাশ ১৯৬৭ সালে ১২ নভেম্বর। কত তথ্য তো আমার অজানা, তার মধ্যে এই তথ্যটিও। নুরুন্নবী লিখেছেন, ‘যখন এই কবিতাটি লেখা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে। এই প্রসঙ্গে স্বয়ং কবি নির্মলেন্দু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমি প্রথম কবিতা লিখেছিলাম, ১৯৬৭ সালে। যখন তার নাম ছিল শুধু শেখ মুজিবুর রহমান।’ বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রমনা রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে ব্রজকণ্ঠে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এই প্রসঙ্গে নির্মলেন্দু গুণ লেখেন-

“একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মুক্ত অধীর ব্যাকুল শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জন সমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?”
কিংবা কবি সৈয়দ শামসুল হক লেখেন-
“এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথচলি-
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি।”

ফিরে আসি ‘আই হেইট পলিটিঙ’ প্রসঙ্গে। রাজনীতি সুন্দর। তারপরও আমরা প্রায়শঃ একটা কথা শুনি, ‘আমি রাজনীতি ঘৃণা করি’। প্রশ্ন-এই ঘৃণা আসে কোত্থেকে? এর উৎপত্তি কোথায়? এই ‘ঘৃণা’ আসে যারা রাজনীতিকে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে, তাদের তাবৎ অনৈতিক কাজ ‘জায়েজ’ করার জন্যে ব্যবহার করেন সেই সমস্ত (অপ) কর্মকান্ড থেকে। আপনি চোখের সামনে দেখছেন, একজন তথাকথিত রাজনৈতিক নেতা, যার কোন জনসমর্থন নেই, নেতা হবার ন্যূনতম যোগ্যতা যার নেই কোন বিচার্যে, কেবল সরকারি ও নিজস্ব পেটোয়া-বাহিনীর সমর্থন নিয়ে তিনি একটির পর একটি অন্যায় করে চলেছেন প্রকাশ্যে, দেশের সমস্ত আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং আপনাকে তাকেই মানতে হচ্ছে আপনার ‘নেতা’ বলে। এদের অনেককে আপনি জানেন, দেশ জানে ঋণ খেলাপী, পরের জমি-সম্পত্তি জোরদখলকারী হিসাবে। কিন্তু কী অবাক করা এনারা সমাজপতি সেজে বসে আছেন। এই সমস্ত দেখলে তখন সাধারণের নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় বৈকি। বোধকরি এই অসহায়ত্ব থেকে জন্মে ঘৃণা। ঘৃণা ওই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি। এক সময় এই ঘৃণা ব্যক্তি থেকে গড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজনীতির উপর। তখন আপনাতেই অনেকের মনে উচ্চারিত হয় শব্দ কটি- ‘আই হেইট পলিটিঙ’, আমি রাজনীতি ঘৃণা করি। রাজনীতি সুন্দর হবে, নির্মল হবে, কলুষমুক্ত হবে, যোগ্যরা রাজনীতিতে আবারো এগিয়ে আসবেন একদিন, সাধারণ জনগণ অতি উৎসাহে রাজনীতিতে নিজেকে জড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি। আমি নিরাশাবাদী নই। আশা করি দিন বদল হবে। সেদিনের অপেক্ষায় যেদিন শুনবো, ‘আই লাভ পলিটিঙ’। সবশেষে লেখক নুরুন্নবী চৌধুরীকে অশেষ ধন্যবাদ এই ধরনের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেবার জন্যে। তার বইটি আমার মত পাঠকদেরও ভালো লাগবে বলে ধারণা।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা দুজন
পরবর্তী নিবন্ধধর্মনিরপেক্ষতার লেবাসে সাম্প্রদায়িকতার চাষাবাদ