পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার একজন মানুষের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সাথে চিন্তার বিকাশ ও কাজকর্মে মনোনিবেশ স্থাপনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের জুড়ি নেই। তবে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও খাবার নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য ১১ টি এবং মেয়েদের জন্য ৬ টি হল রয়েছে। সেসব হলে প্রায় ২০,০০০জন শিক্ষার্থী হলের খাবারের উপর নির্ভরশীল। হলের দু‘বেলা খাবারের মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও শাক সবজির আইটেমগুলোতে গুণগত মানের তেমন নজির পাওয়া যায় না। তার উপর মানের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে খাবার খেতে হয়। এভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য ফাস্ট ফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া হলের বাহিরে কিছু কিছু হোটেলে রুচিসম্মত স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া গেলেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে তার খরচ বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে হলের খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তাইয়্যেবা সুলতানা সাদিয়া
শিক্ষার্থী
ইতিহাস বিভাগ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।