হরতাল–অবরোধকে কেন্দ্র করে বেসরকারি বিমানের টিকেট সিন্ডিকেটের ‘গলাকাটা দামে’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনে সরব চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক সুজন।
এ সময় তিনি বলেন, হরতাল–অবরোধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে হরতাল–অবরোধের মধ্যেও জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কারণে মানুষ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বেসরকারি বিমান হরতাল–অবরোধের সুযোগটাকে পরিপূর্ণ অব্যবসায়িকভাবে কাজে লাগাচ্ছে। চট্টগ্রাম–ঢাকা তিন হাজার টাকা মূল্যের বিমানের টিকেটকে ১০–১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যা চরম অনৈতিক বলেও মনে করেন সুজন।
এভাবে বিমানের টিকেটের অতিরিক্ত মূল্যের কারণে যাত্রীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে উল্লেখ করে সুজন বলেন, হরতাল–অবরোধের সুযোগে এভাবে যাত্রীদের পকেট কাটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিমান সাধারণত উঁচু শ্রেণীর যাত্রী পরিবহন করে থাকে। পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত কারণে কিংবা চিকিৎসাজনিত কারণেও বিমানে ভ্রমণ করে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ছাড়াও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিমানে আসা যাওয়া আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাছাড়া হরতাল–অবরোধে কারণে অনেক যাত্রী বিমানকে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবহন হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সে সুযোগটাকে ব্যবহার করে বিমানের অব্যবসায়িক মনোভাবের ফলে এসব বিমানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।