হত্যা মামলার ৩২ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় ইসমাঈল হত্যার ৩২ বছর পর মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ওই আসাামি যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলারও পলাতক আসামি। শনিবার নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম দিদারুল ইসলাম ওরফে জসিম (৫৫)। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইর মোহাম্মদপাড়া গ্রামের প্রয়াত মেহেরুজ্জামানের ছেলে। গতকাল রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র ও র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২ জুলাই রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন কালিপুর এবং বর্তমান ইসলামপুর ইউনিয়ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিলেন মো. ইসমাঈল।

এই ঘটনায় পরদিন সকালে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইসমাঈলের পিতা আবদুল মোতালেব। তদন্ত শেষে ১২ জনকে আসামি করে ১৯৯২ সালের ৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। যেখানে ১৭ জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আদালত জসিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর পলাতক অবস্থায় ২০০২ সালের শেষের দিকে যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। সেই মামলায় কাউখালী থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় জসিম এক নম্বর আসামি। ২০০৩ সালে সর্বশেষ অস্ত্রসহ ফটিকছড়ির ঝংকার মোড় এলাকা থেকে দলবলসহ গ্রেপ্তার হয় সাকা ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী জসিম। সেই অস্ত্র মামলায় ১০ বছর সাজা কাটায় জেলে। পরবর্তীতে ইসমাঈল ও কামরুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও জসিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। সর্বশেষ চান্দগাঁও এলাকায় অবস্থান করার খবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব৭।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া ও কাউখালী থানায় দুটি পৃথক হত্যা মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠক