হজ্বযাত্রী কল্যাণ পরিষদের এক মতবিনিময় সভা গত ১৬ অক্টোবর সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হজে গমনেচ্ছু হাজীদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানাতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, হজ চুক্তি যাতে ২৩ অক্টোবরের স্থলে আরও ন্যুনতম ২ মাস পিছিয়ে দেয়া হয়। অন্যথায় আগামী হজে বাংলাদেশের কোটা পূর্ণ হবে না। গত বছরও ৪৪ হাজার হজযাত্রী অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ হজ কোটা খালি যায়।পরিষদের সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম এক বিবৃতিতে আরও বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ হজের ৪ মাস আগে, তা না হলে ৬ মাস আগে থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীর জন্য মিনা–আরাফাতে তাঁবু বরাদ্দ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু সৌদি সরকার ৭ মাসেরও অধিক আগে ২৩ অক্টোবর মিনা–আরাফাতে তাঁবু বরাদ্দ দেয়া শুরু করে দিলে বাংলাদেশের হজযাত্রীর ক্ষেত্রে খুবই প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হয়। এতে ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে হজে যেতে নিবন্ধন করা অনেকের ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। যদি আগামী ২৩ অক্টোবর ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে হজ নিবন্ধনের সময় নির্ধারিত থাকে তবে তা কোটা পূরণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা গত হজের চেয়ে আগামী হজে আরও খারাপ হতে পারে। হজ্বযাত্রী কল্যাণ পরিষদ হজে গমনেচ্ছু হাজীদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।