হচ্ছে ৭ তলা ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ভবন

চমেক হাসপাতাল ।। কার্যাদেশ শেষে এখন নিমার্ণকাজ শুরুর অপেক্ষা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

নতুন ৭ তলা বিশিষ্ট ডায়াগনিস্টক ইমেজিং ভবন হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। ‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশের ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামসহ ৭টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা। ৪০১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে এরই মধ্যে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। এখন কেবল নির্মাণকাজ শুরুর অপেক্ষা। এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ আজাদীকে বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদের পরপরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রকল্পের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। দেশের ৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০১ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে এ প্রকল্পে পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ভবন নির্মাণ হচ্ছে সরকারের অর্থায়নে। হাসপাতালটিতে (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ) এ ভবন নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রকল্প সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা (৫৭ কোটি টাকার বেশি)। নতুন এ ভবনটি নির্মাণের জন্য চমেক হাসপাতালের পিছনের অংশে স্থান নির্ধারণ করা আছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন ভবনটি নির্মাণ হলে সেখানে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে। এর মাঝে সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাম ও এঙ-রে অন্যতম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাসপাতালের গরীব রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা আরো বাড়বে বলে মনে করেন চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার।

এদিকে, জাইকার অর্থায়নে নির্মিতব্য ভবনটির জন্য নির্ধারিত জায়গাটি নিয়ে বেশ কয়বছর ধরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। চীন সরকারের অর্থায়নে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনে একই জায়গাটি পছন্দ করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একাধিকবার বৈঠকেও বসে। জাইকা ও চীন সরকারের দুটি প্রকল্পই বাস্তবায়ন হোক, এমনটাই চান চমেক হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। তিনি আজাদীকে বলেন, কোন প্রকল্প যেন আমাদের হারাতে না হয়। সে চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। যদিও জায়গা নিয়ে জটিলতার কিছু নেই দাবি করে জাইকার প্রকল্পটির পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, প্রকল্পটির ডিপিপি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভবনের নকশাও অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধুই নির্মাণকাজ শুরুর অপেক্ষা। ঈদের পরপরই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ঘুষ’ না নেওয়ায় হুমকি!
পরবর্তী নিবন্ধকারখানায় গ্যাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার