সাম্প্রতিক বন্যায় ও টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বান্দরবানের রুমা–থানচির সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে পাহাড় কেটে বাইপাস সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বান্দরবানের এ দুটি স্থানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবি এম আমিন উল্লাহ নুরী। গতকাল শনিবার দুপুরে রুমা ও থানচির ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
সচিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সড়ক সংস্কার করে যানবাহন চলাচল সচল করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে যে বাইপাস সড়ক তৈরি করা হয়েছে সেটিকেও টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন এই সড়ক টেকসই ও মজবুত হয়।
তিনি বলেন, পাহাড় ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রুমা ও থানচি উপজেলা সড়কের সংস্কার কাজ করছে যৌথভাবে সেনাবাহিনী ও সড়ক জনপথ বিভাগ। দ্রুত গতিতে জোরেশোরে কাজ করা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে রুমা ও থানচি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলার পর সড়ক উন্নয়নের অন্যান্য কাজগুলো করা হবে। তিনি আরো বলেন, বান্দরবান–রুমা, বান্দরবান–থানচি, থানচি আলিকদম গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি সড়কের কাজ একযোগে চলমান রয়েছে। তবে পুরোপুরি সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে আনা–নেয়া সহজ হয় সেজন্যই জরুরিভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. মঈনুল হাসান, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসিবি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত ৭ আগস্ট অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক ধসে যাওয়ায় রুমা এবং থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুই উপজেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। তাদের সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের।