হংকংয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে কার্গো উড়োজাহাজ সাগরে, নিহত ২

| মঙ্গলবার , ২১ অক্টোবর, ২০২৫ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে একটি কার্গো উড়োজাহাজ সাগরে গিয়ে পড়েছে। এমিরেটসের ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ দুবাই থেকে আসার পথে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে উত্তর দিকের রানওয়েতে একটি বাহনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় বিমানবন্দরের দুজন গ্রাউন্ড স্টাফ সাগরে পড়ে যান। পুলিশের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরটিএইচকে জানিয়েছে, তাদের উদ্ধার করা হলেও পরে হাসপাতালে মারা যান; একজনের বয়স ৩০, আরেকজনের ৪১ বছর। খবর বিডিনিউজের। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১৯৯৮ সালের জুলাইয়ে কাই টাক থেকে চেক ল্যাপ ককএ স্থানান্তরের পর এটি দ্বিতীয় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। ১৯৯৯ সালের অগাস্টে টাইফুনের সময় চায়না এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে তিনজন নিহত হন।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন্স) স্টিভেন ইয়ু সিউচাং সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য উপযোগী ছিল। এ দুর্ঘটনার প্রভাব অন্য কোনো ফ্লাইটের ওপর পড়েনি। তিনি জানান, নিহত দুই গ্রাউন্ড স্টাফের একজনের ৭ বছরের, অপরের জনের ১২ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল। দুর্ঘটনার বর্ণনায় স্টিভেন ইয়ু বলেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বেড়া ভেঙে ফেলে। দুর্ভাগ্যবশত তখন বিমানবন্দরের একটি নিরাপত্তা টহল গাড়ি সেখানে ছিল। বিমানটির সঙ্গে ওই গাড়ির সংঘর্ষ বাধে এবং সেটিকে সাগরে ঠেলে দেয়। বিমানে থাকা চারজন ক্রুকে দ্রুত উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, খবর পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তারা দেখতে পান, উড়োজাহাজটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে এবং অংশবিশেষ পানিতে ভাসছে। চার এমিরেটস ক্রু নিজেরা দরজা ভেঙে বাইরে বের হন, আর তখনই উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোট ২১৩ জন দমকলকর্মী ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকর্মী সেখানে কাজ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে ছিল ৪৫টি যানবাহন ও নৌযান।

ট্র্যাকিং সাইট এয়ারফ্লিটস জানিয়েছে, ৩০ বছরের বেশি পুরনো উড়োজাহাজটি প্রথম উড়েছিল ১৯৯৩ সালে। গতকাল সোমবার উড়োজাহাজটি এমিরেটস স্কাইকার্গো ফ্লাইট ৯৭৮৮ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল। এমিরেটসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ হংকং বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। ক্রুরা সবাই নিরাপদ রয়েছেন এবং বিমানে কোনো কার্গো (মালামাল) ছিল না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন রদ্রিগো পাজ, দুই দশকের বামপন্থি শাসনের অবসান
পরবর্তী নিবন্ধহামাসের হামলার পর ইসরায়েলি বিমান হামলা, গাজায় নিহত ২৬