সড়কে কেন এত দুর্ঘটনা, কান্না

চট্টগ্রামে ঊনচল্লিশ দিনে নিহত ১৯

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

চালকের বেপরোয়া গতি নিভিয়ে দিচ্ছে একের পর এক জীবন প্রদীপ। যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বাড়ছে সাধারণ মানুষের কান্না। প্রিয়তমা স্ত্রীর সামনে মুহূর্তেই স্বামী হয়ে যাচ্ছে লাশ, মায়ের সামনে সন্তান হয়ে যাচ্ছে শুধুই মাংসপিণ্ড। চলতি বছর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঊনচল্লিশ দিনে নগরী ও জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন। প্রতিকারে নেই কোনো ব্যবস্থা। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা হয় অনেক, কার্যকর হয় গুটিকয়েক। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (যানবাহন) শ্যামল কুমার নাথ আজাদীকে বলেন, জনসচেনতা, অসতর্কতা ও সড়কে অল্প দূরত্বে অনেক বিপজ্জনক বাঁক, যানবাহন চলাচলে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা, কার আগে কে যাবে এ প্রতিযোগিতায় নেমে সামনের গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ, পেছন দিকে আঘাত করা এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। নিয়ম ভেঙে সামনের গাড়িকে ওভারটেক করতে যাওয়া, অদক্ষ চালকের হাতে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া, চালকের পরিবর্তে হেলপারের গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মানার কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনার তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ এবং যথার্থ গবেষণা হলে সড়কপথে অনেক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বিআরটিএর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সেলগুলো কার্যকর কিছুই করতে পারছে না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে গবেষণাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন এভাবে মানুষ মরত না। সর্বশেষ গতকাল চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচ সন্তান হারিয়ে নির্বাক মৃণালিনী
পরবর্তী নিবন্ধবাবার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় ঋদ্ধি