স্রোতে ভেঙে গেছে সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

লোহাগাড়া টংকাবতী খাল

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ জুলাই, ২০২৪ at ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার আমিরাবাদে টংকাবতী খালে পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়া কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি পানির ঢলে ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ঘোনাপাড়া এলাকায় এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত এই কাঠের সাঁকো ভেঙে গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ভেঙে যাওয়া সাঁকো পরিদর্শন করেছেন নবনির্বাচিত লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরী। এ সময় এলাকাবাসী তার কাছে ওই স্থানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর যাবত এলাকাবাসীর অর্থায়নে টংকাবতী খালের

ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকো দিয়ে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ঘোনা পাড়া, চৌধুরী পাড়া, সৈয়দ পাড়া, হারিকুল পাড়া, নুর আহমদ চৌধুরী পাড়ার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়া সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসি মহিলা মাদ্‌রাসা, উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীরা আসাযাওয়া করে। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এই পর্যন্ত এলাকাবাসীর ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে পায়ে হেঁটে পারাপার সম্ভব হলেও যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হয় না। এছাড়া উৎপাদিত খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতকরণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি থাকলেও দুর্ভোগ নিরসনের জন্য ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, টংকাবতী খালের ওপর এলাকাবাসীর অর্থায়নে প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোর দুই পাশ খোলা থাকায় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুঁটিতে ময়লার স্তুপ আটকে ভেঙে গেছে কাঠের সাঁকোর মাঝখানে। এছাড়া খালের উভয় পাশে গাছপালা, ঝোপঝাড়ে ও শুকিয়ে যাওয়া স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ময়লাআবর্জনা আটকে থাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, উত্তর আমিরাবাদ ঘোনাপাড়া এলাকায় টংকাবতী খালে নির্মাণ করা কাঠের সাঁকো ছিল অর্ধলাখ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। সম্প্রতি খালে পানি বৃদ্ধি পেলে রাজঘাটা ব্রিজ এলাকার ময়লাআবর্জনার বিশাল একটি স্তূপ ভেসে এসে কাঠের সাঁকোর খুঁটিতে আটকা পড়ে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে এলাকাবাসী ভাঙা সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, উত্তর আমিরাবাদ ঘোনাপাড়া এলাকায় টংকাবতী খালে পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়া কাঠের সাঁকো সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া ওই স্থানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার আশ্বাস দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচলাইশে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, নানা গুঞ্জন