আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তা আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন। এই বোধ থেকেই স্বাধীনতার চেতনা আমাদের জাগ্রত হয়। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয় রাজনীতির কবি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দেশকে একটি সম্মানজনক জায়গায় দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার সুফল বেশী ভোগ করেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো। বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে, সেই স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য বিরামহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ডিজিটাল দেশ গড়ে রূপকল্প ২০২১ থেকে উত্তরণ করে ২০৪১ সালে আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট রাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী চিন্তার বাস্তবায়নের জন্য জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এতেও তিনি সফল হবেন। কারণ যারা স্বপ্ন দেখেন তারা সফল হন। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। জনগণ হাওয়া ভবনের বাংলা, অগ্নি সন্ত্রাসের বাংলা আর চায় না।
মুজিব নগর সরকারের ১নং প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিযুক্ত চট্টগ্রাম জেলা বাকশালের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ভাষা সৈনিক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রাক্তন নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। তিনি আরো বলেন, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন দেশ দরদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাজনীতিতে সাধারণ নেতা–কর্মীদের সাথে তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অনিয়ম, বিভেদ সৃষ্টি করার মতো রাজনীতি তিনি কখনো করেননি। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন অকুতভয় নিবেদিত প্রাণ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী তাঁর কর্মের মাঝে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের ভূমিকা অপরীসীম। তিনি তাঁর মেধা দিয়ে দল ও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন আজীবন। রাজনীতিতে এখন যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে তা থেকে যদি আমরা উত্তরণের পথ খুঁজি তাহলে এই প্রজন্মের কাছে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের মতো রাজনীতিবিদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে, জনগণকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষিত বিদগ্ধ রাজনীতিবিদ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল, অত্যন্ত দীন–দরিদ্র এবং অখ্যাতজনকেও মূল্য দিতেন তিনি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ–সভাপতি নঈমুল উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ–সভাপতি এড. মুজিবুল হক, উত্তর জেলার আবুল কাশেম চিশতী, প্রদীপ কুমার দাশ, এড. জহির উদ্দিন, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জামশেদুল আলম, দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মরহুমের কন্যা শামীমা হারুন লুবনা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।