স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ

মিতা পেদ্দার | মঙ্গলবার , ৪ জুলাই, ২০২৩ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মাধ্যমকে বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা অসম্ভব। তাই এ প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে সমতাভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা যায়, সেটিকে কেন্দ্র করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মেয়েদের হাতে প্রযুক্তি তুলে দেওয়া যাবে না, এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের উঠে আসতে হবে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে সম্ভব হয়, এ জন্য ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত সবার জন্য বিজ্ঞান, গণিত, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক শিক্ষা সামনে কারিকুলামে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সুতরাং কেউই বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বাদ পড়বে না এই বিষয়টা নিশ্চিত করা অবশ্যই দরকার। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের পুরো জীবনব্যবস্থাকেই ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সময় ইন্টারনেটের আবির্ভাব হয়েছে। এ ইন্টারনেট বা সাইবার স্পেসে অর্থাৎ ‘ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে’ সারা পৃথিবী যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে? প্রযুক্তির এই বিশাল সম্ভাবনা কেন বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না? এ ছাড়া আমাদের নারী সমাজ নানা ধরনের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এত প্রতিকূলতা জয় করে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এ অবস্থায়, প্রযুক্তিতে নারীর নিরাপদ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে একদিকে যেমন নারীর ক্ষমতায়ন হবে অন্যদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিষাক্ত পরিবেশ
পরবর্তী নিবন্ধজয়তু কাঁচামরিচ