চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, সরকারের এখন লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য স্মার্ট লোক লাগবে। সবকিছুই স্মার্ট করতে হবে। এখানে স্মার্ট মানে নলেজ বেইজড স্মার্ট। নতুন কর্মকর্তাদের যে টিম, তাদের স্বাগত জানাই। কারণ তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমরা ব্যবসায়ীরা শতভাগ ইথিক্যাল, তা আমি বলবো না।
আমি চাইবো, ৯৯ পারসেন্ট ইথিক্যালি কাজ করবার। সবকিছুই অটোমেশন হওয়া দরকার। অটোমেশন করতে সার্ভারের সমস্যার সমাধান জরুরি। এ নিয়ে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কাস্টমস প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। দেশের উন্নয়নে তারা অবদান রাখতে তারা ব্যক্তিগত জীবনে সময় কমিয়ে দিচ্ছে। এটি থেকে সরে আসতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারলে সমস্যাগুলো লাঘব হবে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনো একজনের ধীরগতির কারণে পুরো কাজ পিছিয়ে পড়তে পারে।
এজন্য কাস্টমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা ইথিক্যালি কাজ করে জাপানের মতো উন্নত হওয়ার চেষ্টা করবো। তাদের নাগরিকদের মতো সুনাগরিক হবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কাস্টমস সরকারের যথাযথ রাজস্ব সংরক্ষণ, নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিতকরণ এবং চোরাচালান ও অর্থপাচার প্রতিরোধে জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা টেকসই অর্থনীতি বাস্তবায়নে বিপুল ভূমিকা রাখবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সবার আগে প্রয়োজন স্মার্ট জনবল।
কাস্টমসকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারস্পরিক জ্ঞান বিতরণ এবং উত্তম পেশাদারিত্ব অর্জনই আগামীর প্রত্যয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার, যাত্রী ও ইলেকট্রনিক কমার্সের বিপুল বিস্তৃতি এবং অংশীজনদের উন্নত সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা কাস্টমসকে স্মার্ট কাস্টমসে রূপান্তরের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।
সেমিনারের সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামান বলেন, আমাদেরও ভালো লাগতো, যদি অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত করা যেতো। কিন্তু একই অনুষ্ঠান বড় করে ঢাকায় হচ্ছে। ওখানে মন্ত্রী মহদোয়ও যাবেন। তাই এখানে ছোট করে আয়োজন করার নির্দেশনা আছে। ফলে এখানে আমরা বেশি কোনো আয়োজন রাখিনি। শুধু সেমিনার দিয়েই আমাদের উদযাপনটা শেষ করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যাঙেস আপিলাত ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের সদস্য মোছা. সফিনা জাহান, কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সহ সভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা।
স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের ১৮৪টি দেশ কাস্টমস দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এবারের কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নার্চারিং দ্যা নেঙট জেনারেশন : প্রমোটিং অ্যা কালচার অব নলেজ–শেয়ারিং অ্যান্ড প্রফেশনাল প্রাইড ইন কাস্টমস’। (ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন : কাস্টমসে জ্ঞানচর্চার সংস্কৃতি ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ)। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন উপ–কমিশনার খাদিজা পারভিন সুমি ও মো. আহসানুল্লাহ। অনুষ্ঠানে মোরশেদ আলমের পরিচালনায় বাংলাদেশ কাস্টমসের কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।