কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও শাশুড়িকে গুরুতর জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে থানায় রুজু করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ঘাতক স্বামীসহ পাঁচজনকে। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে আরও তিনজনকে।
মেয়ে সভার মজিদিয়া মাদরাসা পাড়ার বাসিন্দা আবদুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেন। মামলায় ঘাতক স্বামী শওকত হাসান মেহেদীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মেহেদী উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আজিমুল্লাহপাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন– ঘাতক স্বামী মেহেদীর মা মমতাজ, বাবা আবুল হাশেম, বোন সুমাইয়া আক্তার ও একই এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনার ৮ ঘণ্টার মাথায় বান্দরবানের লামা থেকে ঘাতক স্বামী শওকত হাসান মেহেদীকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর মামলা রুজু হলে মেহেদীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, তুহি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি শওকত হাসান মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।