নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন সরাই পাড়া এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছয় মাস বয়সী শিশু সন্তানকে খুনের দায়ে স্বামী ও তার প্রথম স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পূর্ব কাজীরখিল এলাকার বদু মিয়ার ছেলে বাস চালক আব্দুল বারেক ও তার প্রথম স্ত্রী লাকী আক্তার। তারা নগরীর সরাই পাড়ার বহেরা পুকুর পাড়ের সিরাজ মিয়ার ঘরে ভাড়ায় থাকতেন।
গতকাল চট্টগ্রামের ৬ষ্ট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দীর্ঘতম বড়ুয়া আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে খুনের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতসূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৬ মার্চ পাহাড়তলীর সরাই পাড়ায় আব্দুল মালেকের দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম ও তার শিশু সন্তান মো. হুদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রহিমার বোন জহুরা বেগম পাহাড়তলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে রহিমার সাথে পারিবারিকভাবে আব্দুল বারেকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে রহিমাকে মারধর করত বারেক ও তার প্রথম স্ত্রী লাকী আক্তার। ঘটনার দিন রহিমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিরা তাকে ঘর থেকে বের হতে দেননি। একপর্যায়ে সেদিনই রহিমা ও তার শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রহিমার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আর শিশু সন্তানের মরদেহ রহিমার মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল। দুজনকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। রহিমাকে মারধরও করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আদালতসূত্র আরো জানায়, ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন বিচারক।