অবশেষে স্বাধীনতা ঘোষণার ৫৩ বছরে এসে স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবে রাঙামাটির সর্বস্তরের মানুষ। আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে রাঙামাটি জেলায় নির্মিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। দেশ স্বাধীনের পর বিগত বছরগুলোতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক দেওয়া হতো জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে রাঙামাটিতে। গতকাল ২৪ মার্চ বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, জেলা শহরের সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশে নির্মিত স্থায়ী স্মৃতিসৌধ চত্বরে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এবার প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি। জানা গেছে, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙামাটি জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাঙামাটি জেলায় স্থায়ী স্মৃতিসৌধ না থাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস, ভাষা শহদি দিবস ও বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হতো। এখন স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করায় এই বছর থেকে স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তবে এখনো স্মৃতিসৌধের কিছু কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে। বীর শহীদদের নাম উল্লেখসহ অন্যান্য অসম্পূর্ণ কাজ শিগগিরই করা প্রয়োজন।’