স্বাধীনতার মাসে আত্মজিজ্ঞাসা

কুমার প্রীতীশ বল | সোমবার , ২৮ মার্চ, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

জাতির জনকের ১০২ তম জন্মদিবসান্তে আমরা পালন করছি আমাদের স্বাধীনতার ৫২ বছর। আয়োজনে এবং বিনম্র শ্রদ্ধায় কোথাও কোনো কমতি-ঘাটতি নেই। রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে শেখ হাসিনার যোগ্যতা, দক্ষতা, ত্যাগ এবং আপোষহীনতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারছি না। দীর্ঘশ্বাস কেন জানি লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে। এমন এক আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি নিজেকে দাঁড় করিয়ে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করতে হয়। হিসাব মিলাতে পারি না।
আমাদের প্রজন্মটি বেড়ে উঠেছে সামরিক স্বৈরাচার আর সাম্প্রদায়িকতার ভয়াল ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত হতে হতে। তখনই যাঁরা বঙ্গবন্ধু, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সাম্প্রদায়িক স্বৈরশক্তির রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ছড়ায়, কবিতায় সরব ছিলেন; তাঁদের যখন বঙ্গবন্ধু, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ে কেউ কটাক্ষ করে, তখন অসহায়ত্ব আরও বেশি করে ফুটে ওঠে। ভুক্তভোগীর মুখে এমন বয়ান শুনে মাথা অবনত করা ছাড়া বিকল্প খুঁজে পাই না। কারণ সেসব কটাক্ষকারীরা আজ পোষাকী রাজনীতির পরিচালক। বড়ই বেখাপ্পা লাগে নিজেদের এদের কার্যকলাপ দেখলে কিংবা শুনলে। মনে মনে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি-পাকিস্তানে প্রত্যাহত হয়ে স্বাধীন, সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের যে দর্শন দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু জাতির সামনে উন্মোচিত করেছিলেন, সেই মুজিব দর্শন আজকের পোষাকী রাজনীতিাবদ কতটুকু জানেন? স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে বলতেই হয়, রাজনীতিতে মেধার চর্চা, পাঠচক্র পরিচালনার ধারা ক্রমাগতভাবে লোপ পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেঙে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের যে কর্মসূচি জাতির পিতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পরিকল্পনা, সেটা যদি তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন তাহলে স্বাধীনতার মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারতো। দুর্ভাগ্য, সেই সুযোগটা তাঁকে দেওয়া হলো না’। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনায় হলো মুজিব দর্শন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সম্ভব হয়নি। এতকাল বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা কেউ বলেনি পর্যন্ত। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলা শুরু করেছেন। এর একাডেমিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন আছে। দল হিসাবে আওয়ামীলীগকে এই দর্শন মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। তাহলেই এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।
খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস ‘প্রসঙ্গ শেখ মুজিব’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘কখনো সহপাঠী হিসাবে কখনো সহকর্মী কখনো গোপন কখনো বা প্রকাশ্যে রাজনীতির সাথীরূপে মুজিব ভাণ্ডার চিনবার ও জানবার অবাধ সুুযোগ পেয়েছি।…একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং জাতি-ধর্ম-শ্রেণি নির্বিশেষে অর্থনৈতিক মুক্তির গ্যারান্টিসহ শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অমিত বিক্রম তেজ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি’। এক্ষণে এসে আবারও আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হই। আমরা সেই ‘মুজিব ভাণ্ডার’ কতটুকু জেনেছি বা চিনেছি? এমনকি এ প্রশ্নও সামনে চলে আসবে, অবাধ সুযোগই কতটুকু পেয়েছি? আমাদের প্রজন্ম কিংবা আমাদের পরবর্তী একাধিক প্রজন্ম সেই ‘অবাধ সুযোগ’ পায়নি। ৭৫-এর পট পরিবর্তন আমাদের সেই ‘অবাধ সুযোগ’ গ্রহণের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন সুযোগ আছে। আজকের প্রজন্মকে সেই ‘অবাধ সুযোগ’ করে দিতে হবে। কিন্তু ৭৫-এর কুশীলবরা এখনও সক্রিয় তাই সমাজে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-স্থবিরতা-সিদ্ধান্তহীনতা এবং ধীরে চলা নীতি অব্যাহত রয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধু একাই ‘একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং জাতি-ধর্ম-শ্রেণি নির্বিশেষে অর্থনৈতিক মুক্তির গ্যারান্টিসহ শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অমিত বিক্রম তেজ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে’ গিয়েছেন। আজও শেখ হাসিনা একাই করছেন। দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনা উভয়েই এক্ষেত্রে নিসঙ্গ শেরপা।
আমরা সবাই বলছি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের কথা নতুন প্রজন্মকে শেখাতে হবে। কিন্তু কেউ শিখাচ্ছি না। উদ্যোগও দেখছি না। শুধু বলে বেড়াচ্ছি। ফলে বিভ্রান্তিকারীরা সগর্বে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ‘শেখ মুজিব কি প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু হলেন-কিভাবে তিনি দেশকে অভিষ্ঠ মুক্তির লক্ষ্যে নিয়ে গিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়েছেন- সে সম্পর্কে’ আজকের তারুণ্য অন্ধকারে আছে। পাঠ্যসূচিসমূহের আবছা অবয়ব এ প্রজন্মকে কখনও স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে তুলতে পারছে না। আজকে গণমুখী শিক্ষার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষা, শিক্ষকতা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলক হলেও এখন আর সর্বত্র চর্চা হয় না। তাই আজকের প্রজন্ম জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে দাঁড়িয়ে সম্মান করে না। জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলে এখন আর ওরা আবেগাপ্লুত হয় না। এজন্য ওদের দায়ী করলে হবে না। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিখানো হচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫২ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি লাভ করেছে। কিন্তু শিক্ষাক্রমে দেশপ্রেম জাগ্রত করার মতো বিষয়বস্তুর অভাব রয়েছে। ফলে দেশপ্রেমিক ‘শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অমিত বিক্রম তেজ ও অক্লান্ত’ পরিশ্রমী প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে না। আজকের প্রজন্ম শিক্ষা কিংবা চাকরির নামে বিদেশ পালাতে অনেক বেশি তৎপর। তারা দেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলায় দেশের পতাকা ফেলে বিদেশি পতাকা উড়াতে উৎসাহবোধ করে। আফ্রিদিকে ‘মেরি মি’ বলে প্লে কার্ড প্রদর্শন করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। এদের থামাতে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে আজকের রাজনৈতিক নেতৃত্বেও মধ্যে সেই বৈপ্লবিক উপাদান অনুপস্থিত।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনাও তেমন বিকশিত হয়নি। তৈরি হয়নি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারাবাহিক উত্তরাধিকার। ফলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরিতে মৌলবাদী শক্তি বাধা প্রদানে সাহস পায়। শাপলা চত্বরে তাণ্ডব ঘটাতে পারে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র স্মৃতি বিজরিত সংগ্রহশালা ধ্বংস করার দুঃসাহস দেখায়। কোথায় হারিয়ে গেছে আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার জারি, সারি, ভাটিয়ালি, কীর্তন, ঘেটু, যাত্রা, রবীন্দ্র-নজরুল-দ্বিজেন্দ্র-হাসন-লালন সংগীত। এখানেও আমাদের রাজনৈতিক-সামাজিক বন্ধ্যাত্ব ভর করেছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর কাছে বাঙালি সংস্কৃতি ছিল লড়াই-সংগ্রামের হাতিয়ার। এ প্রসঙ্গে সেলিনা হোসেনের একটি স্মৃতিকথা সাক্ষ্য হিসাবে উল্লেখ করছি-‘১৯৭১ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি…বঙ্গবন্ধুকে আমন্ত্রণ দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন বাংলা একাডেমির বইমেলার উদ্বোধন করার জন্য এবং সেই সময়ে যারা বিদেশি ছিলো, তারা বাংলা একাডেমি থেকে বাংলা ভাষা শিখতো তাদের সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। সে সময় বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন, প্রফেসর কবীর চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি হচ্ছিলো বাংলা একাডেমির মাঠে যে বটমূল আছে সেখানে। মাঠে শত শত শ্রোতা আর মঞ্চে বসা বঙ্গবন্ধু। হঠাৎ একজন এসে বঙ্গবন্ধুর কানে কানে কিছু একটা কথা বলে গেলেন। আমরা দূর থেকে সে কথাটা কেউই শুনতে পাইনি। দেখলাম, তিনি একটু ক্ষুব্ধ হলেন, উত্তেজিত হলেন, মুখটা দেখে এমন মনে হচ্ছিলো। কিন্তু তিনি মুখে কিছু উচ্চারণ করেননি, কোনো কথা বলেননি। মাঠের সামনের সারিতে বসে ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হুসনা বানু খানম। বঙ্গবন্ধু সেই বিখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হুসনা বানু খানমকে বললেন, আপনি মঞ্চে আসেন। হুসনা বানু মঞ্চে গেলেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, একটা গান করেন। হুসনা বানু খানম আপা বললেন, কি গান করবো? বঙ্গবন্ধু বললেন, ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা। হুসনা আপা এ গানটি করলেন। মাঠের সবাই নিস্তব্ধ হয়ে শুনলাম।… অনুষ্ঠান শেষ হলে বঙ্গবন্ধু চলে গেলেন।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী…অনুষ্ঠানের ২/৩ তিন পর …সেইদিন যা ঘটেছিলো তা আমাদের বললেন। ১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় ভুট্টো, ইয়াহিয়া খান এবং বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো, সেই বৈঠকে ভূট্টো আসবে না বলে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে। সেই খবরটিই সেদিন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে এসে জানিয়েছিলেন।’ এমন ঘটনা ঘটলে, আজকের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মোকাবেলা করতেন স্লোগানে, বিক্ষোভে আর জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু সে ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। আজকের দিনে সংস্কৃতি শুধুই বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক এই দেওলিয়াত্বপনা সার্বিক অর্থে জাতিগতভাবে আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটিয়েছে। এটা স্বাধীনতার ৫২ বছরের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতির মুখোমুখি আমরা হয়েছি ৭৫ এর পট পরিবর্তনের মাধ্যমে। আজও তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাঙালির গর্ব মধ্যবিত্ত শ্রেণি শ্রেণিগতভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই শ্রেণির উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধি। তাঁর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রেণিটি চরিত্রগত দৃঢ়তা হারিয়ে আত্মসমর্পন করেছে। জেনারেল জিয়ার ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ এবং ‘আই মেইম পলিট্রিকস ডিভিকাল্ট’ নীতিসমূহ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বিসর্জনের পাশাপাশি অর্জন কিন্তু কম নয়। বিশেষ করে বিগত ১০ দশ বছরে আমাদের অবকাঠামোগত অনেক উন্নতি ঘটেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। তথ্য, প্রযুক্তি যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমরা অনেক ধাপ এগিয়েছি। পৃথিবীর সুখী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের সাত ধাপ অগ্রগতি ঘটেছে। এ বছর জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪ নম্বরে। আগে এটা ছিল ১০১ নম্বরে। বর্তমানে ভারতের অবস্থান ১৩৬ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১২১তম। আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আরও সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই। তেমন সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। কিন্তু আমাদের মেধা ও মননের বিকাশ এবং স্বাধীন বিচরণ ঘটাতে হবে। এজন্য সাংস্কৃতিক স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বাণিজ্যিককরণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আদর্শের মূল্যায়নের মাধ্যমে এর চর্চাকে বেগবান করতে হবে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবর্ণ পাতারা পড়ে থাকে পায়ের কাছে
পরবর্তী নিবন্ধআমার ভুবনে স্বাধীনতা