স্বর্ণ বিক্রির টাকায় কেনা হয় মোটরসাইকেল

আসকারদিঘিতে ২০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনা গ্রেপ্তার ৪, ল্যাপটপ বাইক ও ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের আসকারদিঘি পাড়ের একটি বাসায় ১৭ দিন আগে ২০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণ বিক্রির টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ধৃতরা হলেন নগরীর উত্তর নালাপাড়া এলাকার ইসমাইল (৪০), পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির সালাহউদ্দিন (৩২), ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার ডুমুর এলাকার মো. জসিম (৪৩) ও নওগাঁ জেলার সদর থানার শেরপুর এলাকার মোস্তাকিন হোসেন মিঠু (৪২)

জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর আসকারদিঘির পূর্বপাড়ে কাঁচাবাজারের গলির রিচ নাহার বিল্ডিংয়ের ৭ম তলায় চুরির ঘটনা ঘটে। ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও ল্যাপটপ নিয়ে যায় চোরের দল। এ ঘটনায় পূরবী বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানায় এজাহার দেন।

সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, মামলা রুজুর পর মহানগর গোয়েন্দার (পশ্চিম) একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। গঠিত চৌকশ টিম ঘটনার আশপাশের এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে। সিসিটিভিতে দেখা যায়, ৩ থেকে ৪ জন লোক বাসার আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ ডিসেম্বর চোরদের ধরতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে প্রথমে টাইগারপাস এলাকা থেকে মোস্তাকিন হোসেন মিঠু ও মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঘটনার দিন তাদের সহযোগী সালাউদ্দিন তাদেরকে চুরির পরিকল্পনার সম্পর্কে জানান এবং সেই মোতাবেক তারা চুরির পরিকল্পনা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মো. জসিম তার কাছে একটি চুরি করা ল্যাপটপ আছে বলে জানান। পরবর্তীতে জসিমের বাসা থেকে চুরি করা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

এরপর জসিম ও মিঠুর দেওয়া তথ্য মতে আনোয়ারা থেকে একইদিন রাতে সালাহউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া স্বর্ণ বিক্রির টাকা দিয়ে একটি নতুন মোটরসাইকেল ক্রয় করেন এবং কিছু টাকা তার হেফাজত রেখেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

সালাহউদ্দিন স্বীকার করেন, স্বর্ণ বিক্রির সময় তার সাথে মো. ইসমাইল (৩০) নামে আরো একজন ছিলেন। এরপর নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাইল টেরীবাজার এলাকার একটি দোকানের ঠিকানা দেন। স্বর্ণ উদ্ধারে ওই দোকানে অভিযানে গেলে অভিযুক্ত দোকানদার টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার এবং চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মনোনয়ন নিলেন আরও ৩১ প্রার্থী