সীতাকুণ্ড উপজেলার রিটু আইচ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সুপ্লব চৌধুরী প্রকাশ বাবুকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ঘটনার সাড়ে ৯ বছর পর তিনি এ সাজা পেয়েছেন। সুপ্লব সীতাকুণ্ডের উত্তর মছদ্দার সুলতানা মন্দির সেন বাড়ির সুনীল চৌধুরীর ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সারওয়ার আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সুপ্লব চৌধুরী কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অজয় বোস রিংকু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহাতীতভাবে আনিত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সুপ্লব চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা করেছে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাকে এ সাজা দেয়া হয়। লাশ গুমের চেষ্টার দায়ে দণ্ডবিধির ২০১ ধারাতেও তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, যাকে হত্যার অভিযোগে এ মামলা হয়েছিল, সেই রিটু আইচের বয়স সে সময় ছিল ২৮ বছর। তার বাবার নাম পরিতোষ আইচ। বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় বন্ধুত্ব ছিল সুপ্লব ও রিটুর মধ্যে। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর রাতে রিটু আইচকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রিটুর ভাই টিটু বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার হয় সুপ্লব চৌধুরী। আদালতে উপস্থাপন করা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অজয় বোস রিংকু বলেন, স্বর্গে যেতে পারবেন এমন ধারণাতেই বন্ধু রিটু আইচকে হত্যা করে সুপ্লব চৌধুরী। স্বপ্নে তিনি এমন ধারণা পেয়েছেন। ঘটনার আগে পরিকল্পনা মতো বাজার থেকে একটি দা কিনে রাখেন। সুযোগ বুঝে একদিন মন্দিরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে গভীর রাতে পেছন থেকে কুপিয়ে বন্ধুকে হত্যা করেন সুপ্লব। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা স্বীকার করেছেন।
