এবারের বিপিএল আসরে পারফর্ম করেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছতে চান রিপন মন্ডল। আর এই স্বপ্নে ঠিকানার নাম ‘জাতীয় দল।’ জাতীয় দলে ঢোকার ঠিক আগের যে ধাপ, সেখানে তিনি আলো ছড়িয়েছেন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে গত মাসে কাতারে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। নতুন বলে কার্যকর বোলিং, পুরোনো বলে একের পর এক ইয়র্কার করে হয়ে উঠেছিলেন ইয়র্কার মেশিন। এবার রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে প্রথম খেলতে নেমেই সোমবার নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিলেন মাত্র ১৩ রান দিয়ে। বিপিএল ক্যারিয়ারে তো বটেই, তার টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরই সেরা বোলিং এটি। তার ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান বলবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনটি ম্যাচ তিনি খেলেছেন। গত মাসে রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্ট থেকে দেশে ফিরে বলেছিলেন, জাতীয় দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করেন। এবার বিপিএলে ম্যাচ–সেরা হওয়ার পর বললেন, সুযোগটির জন্য তার তর সইছে না। ‘বিপিএল আমার জন্য অনেক বড় একটা মঞ্চ। আমি যদি ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারি, সুযোগ আসবে জাতীয় দলের। আমি সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই আছি। যদি আসে, সেটা লুফে নেব।’ এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত অবশ্য তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল রাজশাহী দলে সুযোগ পেতেই। প্রথম দুই ম্যাচে রাজশাহীর পেস আক্রমণে বিনুরা ফার্নান্দো ও তানজিম হাসানের সঙ্গে ছিলেন রাইজিং স্টার্সে ভালো করা আরেক পেসার আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তৃতীয় ম্যাচে সাকলাইনের বদলে সুযোগ পান রিপন। ২২ বছর বয়সী পেসার জানান, আগে থেকেই তাকে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সামনেও তিনি তৈরি থাকবেন প্রতিটি সুযোগের জন্য। ‘দলে জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা তো সবসময় থাকবে। এরকম স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকলে ভালো লাগে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে বার্তাটি দিয়েছিল যে, প্রথম দুই ম্যাচে আমি বিবেচনায় নেই, দিনের ম্যাচে। তারা আমাকে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রেখেছিল যে, রাতের ম্যাচে খেলব। আমি ওভাবেই প্রস্তুত ছিলাম।’ ‘পরে কী হবে, আমি জানি না। খেলোয়াড় হিসেবে যেকোনো সময়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। কম্বিনেশনের জন্য অনেক সময় অনেক কিছু হতে পারে। কখনও তা পক্ষে যায়, কখনও যায় না। আমি এসব নিয়ে ভাবি না। সুযোগ পেলে আমি ভাবি, এটাই আমার শেষ সুযোগ। সেভাবেই প্রস্তুত থাকি।’ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে ভালো করার পর আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই বিপিএলে জ্বলে উঠেছেন রিপন। এই বিশ্বাসের জ্বালানিই তার সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা। ‘আত্মবিশ্বাস তো থাকেই। একটা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলাম, সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যেভাবে শুরু করলাম এখানে, তাতে আরও বেড়েছে। এখান থেকে সামনে আরও খেলা আছে, এটা ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছু হবে।’ ‘আজকেরটা আজকে শেষ, এটা আমি বিশ্বাস করি। পরের ম্যাচে যখন নামব, নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা থাকে যে, যখনই সুযোগ পাব, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব।’











