বিশ্বব্যবস্থা এখন এমন এক হুমকির মুখে রয়েছে, যেমনটি স্নায়ুযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইসিক্স–এর প্রধান দুই কর্মকর্তা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়ে একথা বলেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসন মোকাবেলায় দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে বলেও জানান তারা।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস ও এমআইসিক্স প্রধান রিচার্ড মুরের একটি যৌথ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই নিবন্ধে তারা লিখেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ যে আসন্ন সেটা তারা দেখতে পাচ্ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিতে পেরেছিলেন। ইউক্রেনকে সাহায্য করতে গোপন তথ্যও তারা প্রকাশ করেছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
তারা বলছেন, ইউরোপজুড়ে রাশিয়ার বেপরোয়া নাশকতামূলক তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া, গাজা–ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করা এবং পুনরায় উত্থান ঘটা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) ঠেকাতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী তৎপরতা চলছে।
নিবন্ধে বার্নস ও মুর লিখেছেন, এ ব্যাপারে কোনও প্রশ্ন নেই যে বিশ্বব্যবস্থা (সেই ভারসাম্য অবস্থা যার বদৌলতে অপেক্ষাকৃত শান্তি ও স্থিতিশীলতা, জীবনযাত্রামান বৃদ্ধি সুযোগ ও সমৃদ্ধি আসতে পারে) এখন স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তিতেই সফলভাবে এই হুমকি মোকাবিলা করা যেতে পারে। মার্কিন ও ব্রিটিশ এই দুই গোয়েন্দা প্রধানের মতে, দুই দেশই এখন যে নজিরবিহীন হুমকির মুখে আছে তার অন্যতম হচ্ছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ।