‘স্থূলকায় নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি’

আজ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস । সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৪ at ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

আজ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে পুরো অক্টোবর মাসটি স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, যেকোন বয়সেই স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তবে মরণব্যাধি এই ক্যান্সার এড়াতে সচেতনতার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ফাস্ট ফুড, লাল মাংস, শুটকি, সিগারেট, পান এবং তামাক জাতীয় যেকোন ধরনের পণ্য সেবন থেকে বিরত থাকলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো স্তনে থাকে কোটি কোটি কোষ। প্রতিনিয়তই অসংখ্য কোষ ধ্বংস হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নতুন কোষ তৈরি হয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ প্রস্তুত ও বয়োবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি শরীরে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু কোনো বিশেষ অবস্থা বা বস্তুর কারণে কোনো কোষের জিনের গঠন পরিবর্তন হয়ে গেলে সেই কোষ শরীরের কেন্দ্রীয় হুকুম ও বিধিনিষেধ অমান্য করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। এই কোষ তখন আর অন্য কোনো নিয়ন্ত্রণ মানে না। মাস থেকে বছরের মধ্যে এই কোষ দ্রুত বৃদ্ধির ফলে নির্ণয়যোগ্য একটি কোষপিণ্ডে পরিণত হয়। এই ধরনের কোষপিণ্ডকে টিউমার বলা হয়। টিউমারের আকার বৃদ্ধির জন্য সাধারণত অঙিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের প্রয়োজন হয়। এই সরবরাহ পর্যাপ্ত না হলে টিউমার একটি মটরদানার চেয়েও বড় হয় না। তবে টিউমারে রক্ত সরবরাহ থাকার কারণে তা থেকে ক্যান্সারকোষ বিচ্ছিন্ন হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ইনভেশন বা মেটাস্ট্যাসিস।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থূলকায় নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি। অপরদিকে স্তনের অস্বাভাবিকতা শনাক্তের জন্য নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে হবে। স্তনের কোনো অংশে কোষপিণ্ড বা টিউমার আছে কিনা তা বুঝার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাতের আঙুল দিয়ে পুরো স্তন নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া স্তন পরীক্ষার দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ম্যামোগ্রাফি। ক্যান্সারের স্ক্রিনিং বা পরীক্ষার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে বংশের কারো স্তন ক্যান্সারের পূর্ব ইতিহাস থাকলে অবশ্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদ্রাসা ছুটির পর খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নয় আমরা সবাই বাংলাদেশী