স্থলবাণিজ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞায় ভারতের ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

| সোমবার , ১৯ মে, ২০২৫ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদপণ্যসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের দিকে পাল্লা ভারী থাকার কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, এ বাস্তবতা তুলে ধরে বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। আমরা নিশ্চয় এই অবস্থানগুলোকে তুলে ধরব এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারব। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভৌগলিকভাবে সংযুক্ত দুটি দেশ আমরা। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার একটা প্রক্রিয়া। উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এটার একটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত আনতে পারব। আমাদের আরও কিছু বন্দর এখনও খোলা আছে। শনিবার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদপণ্যসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর যে চড়া শুল্ক আরোপ করেছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত তার চেয়েও কঠোর পদক্ষেপ নিল। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। স্থানীয় স্থলবন্দরে বিশেষ করে আখাউড়া ও ডাউকি সীমান্তভিত্তিক কিছু সিদ্ধান্তের কথা শুনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এখন বিষয়টি বিশ্লেষণ করব। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যকে স্বাভাবিক বাণিজ্য প্রবাহ বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, তারা যেটা আমাদের থেকে নেয়, সেটা সুলভ মূল্যের কারণেই নেয়। আমরাও একই কারণে তাদের পণ্য কিনি। সুতরাং এখানে স্বাভাবিক বাণিজ্য প্রবাহের বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরব। আমরা আমাদের বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ঘটাব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি যে আসবাব যায়, তা না। পোশাক পণ্য যায়, আমরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতার মাধ্যমেই এগুলো পাঠিয়ে থাকি। দুপক্ষের জন্যই লাভজনক বিধায় এগুলো যায়। আশা করি, উভয় দেশের ভোক্তা ও উৎপাদনের স্বার্থে এটা চলমান থাকবে।

এর আগে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় কী ধরনের প্রবাহ পড়েছে, জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা দাবি করেন, ট্রান্সশিপমেন্টের কোনো প্রভাব আমাদের ওপর নেই। নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এই সমস্যা সমাধান করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেনাপোলে ৩৬ ট্রাক পোশাক, বুড়িমারীতে ১৩ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকা
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সব অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা