এক বছর আগে মোবাইলের ইমো অ্যাপের মাধ্যমে আজিজুল হকের (৩৫) সাথে পরিচয় হয় এক মেয়ের। সে থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। দুই মাস আগে আজিজুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগরীতে ভাড়া বাসায় তাকে রাখেন। তবে দুই সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বন্ধ ছিল তাদের মধ্যে। কোনো খবর না পেয়ে মেয়েটি গত ১৩ আগস্ট বিকেলে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইতে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নবাব আলীর বাড়ি এলাকায় আজিজের বাড়িতে আসেন। আজিজ ওই এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে মেয়েটি তাদের বাড়িতে আসলে আজিজ তাকে চিনেন না বলে দাবি করেন এবং বাচ্চা চোর বলে অপবাদ দিয়ে মারধর শুরু করেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, ‘আজিজের পরিবারের সদস্যরা আমার গয়না, মুঠোফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেয়, মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। এরপর ‘বাচ্চা চোর’ বলে চিৎকার করে।’ স্থানীয়রা এসে রাস্তার পাশে গাছে বেঁধে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পুলিশ না এলে হয়তো মেরেই ফেলত। ওই মেয়েটি আরও জানান, আজিজুল জানিয়েছিলেন তিনি তালাকপ্রাপ্ত। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন, তার স্ত্রী রয়েছে।
মেয়েটি নগরীর হালিশহর এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানান। তার বাড়ি কঙবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তিনি বোয়ালখালী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০–৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।