বাঁশখালীতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গণধোলাইয়ে আহত স্বামী ফরিদুল আলম (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল বুধবার ভোরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান।
তিনি বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র। জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা স্ত্রী মিনু আক্তারকে ১১ এপ্রিল ভোরে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদুল আলম। এতে মৃত্যুবরণ করেন ২ মেয়ে ও এক ছেলের জননী মিনু আক্তার। পরে ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ফরিদুল আলমকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ফরিদুল আলম নিখোঁজ থাকলেও ১৫ এপ্রিল দুপুরে নিজ বাড়ি এলাকা খানখানাবাদের ডোংরা আসলে জনতা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ গুরুতর আহত ফরিদুল আলমকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মিনু আক্তার হত্যা মামলার আসামি ফরিদুল আলম বুধবার ভোরে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পোস্টমর্টেম শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।