মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বদ্ধ ঘেড়ামারা এলাকায় ফয়েজ আহমেদ (৮৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, পারিবারিক অভাব–অনটন, অর্থলোভ এবং পারস্পরিক ষড়যন্ত্র থেকেই এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ২৬ জুন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে ফয়েজ আহমেদ নিজ ঘরে শ্বাসরোধে খুন হন। পরে নিহতের ছেলে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে উঠে আসে নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও বড় বোন শ্যামলা বেগমের নেতৃত্বে পারিবারিক পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তদন্ত অনুযায়ী, তারা স্থানীয় ভাড়াটে খুনি আকতারকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফয়েজ আহমেদকে হত্যার দায়িত্ব দেন। আকতার তার দুই সহযোগী রুবেল ও শাকিবকে নিয়ে নির্ধারিত রাতে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ ফয়েজকে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে প্রথমে আকতার, পরে রুবেল ও শাকিব এবং সর্বশেষ ফিরোজা ও শ্যামলাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনই হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।