রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৌর বিদ্যুতে জ্বলছে সড়ক বাতি। রাতের আঁধারে আলোকিত করেছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের পাহাড়ি এলাকা। ১৩ কিমি. সড়কের শতাধিক পয়েন্টে বসানো হয়েছে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার পোলে এ সড়কবাতি। রাতের আঁধারে এই আলোতে যানবাহন ও মানুষের চলাচল যেমন নিরাপদ হয়ে উঠেছে তেমনি রাতের সৌন্দর্যও বেড়েছে পর্যটন শহর রাঙামাটির।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাপছড়ির শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে বদলে গেছে পাহাড়ি এলাকার সড়কের চিত্র। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠেছে সৌর বাতি। লোড শেডিংয়ের ঝামেলা না থাকায় এসব সড়ক বাতি আলো দেয় সারারাত। আবার সকালে সূর্যের আলো ফোঁটার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি মহাসড়কে আরো বেশি সোলার লাইট যেন বসানো হয়। রাঙামাটি সদর উপজেলার মানিকছড়ি এলাকার জিতু লাল চাকমা বলেন, রাঙামাটির সড়কে এ সোলার বাতি দেয়ায় আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। সোলার বাতির কারণে রাতের বেলায় চলাচল ও গাড়ি চালানো অনেকটা নিরাপদ ও সহজ হয়ে উঠেছে।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ট্রাক ড্রাইভার মো. ছিদ্দিক জানান, অনেকদিন পর এই সড়কে রাস্তায় সোলার লাইট দেয়ায় আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে এই রাস্তায় যে ঝুকিপূর্ণ মোড় রয়েছে সেখানে লাইট দেয়ায় ভালো হয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তর্পন দেওয়ান বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সদর উপজেলায় সোলার লাইট পোলগুলো বসানো হয়েছে। রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, পর্যটন শহর রাঙামাটির একমাত্র মহাসড়কের ১৩ কিমি. পাহাড়ি এলাকায় যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে এবং যানবাহন ও মানুষের চলাচল রয়েছে সেই সকল স্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলো পৌঁছানো হচ্ছে। রাতের আঁধারে সৌর বিদ্যুতের আলোয় নিরাপদে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সাংসদ দীপংকর তালুকদার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা পেলে পুরো সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও এ সৌর বিদ্যুৎ বসানো হবে।