ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর নতুন জ্বালানির উৎস খুঁজে পেতে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে সৌদি আরব থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি না পেয়ে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে তাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য লন্ডন ইকোনমিকের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। খবর বাংলানিউজের।
বরিস জানান, বুধবার রিয়াদে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন তিনি। এসময় ক্রাউন প্রিন্সকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চ্যালেঞ্জ জানান। তবে বরিস জোর দিয়ে বলেন, উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি আরো ভালো কিছুর জন্য পরিবর্তিত হচ্ছে। যদিও আধুনিক ইতিহাসে দেশটি তার বৃহত্তম গণ-মৃত্যুদণ্ডের পরে আরো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।
এই সফরে অংশীদারি জোট গঠনের জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এসময় দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং এর বিকাশের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ও।
অপরদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে তারা ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস কম কিনবে। এজন্য বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। সৌদি আরব তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেকের বৃহত্তম সদস্য। সরবরাহ বাড়িয়ে দাম কমাতে সাহায্য করার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির।