ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, সোলেডারের পরিস্থিতি এখন ‘কঠিন’। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আভাস দিয়েছেন, তাদের (ইউক্রেনের) কমান্ডাররা সোলেডার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবার কথা বিবেচনা করছেন। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যুদ্ধ এখনো চলছে। শহরটির বড় এলাকাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবরে বলা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় মুখপাত্রটি বলছেন, বাখমুট শহরের নিকটবর্তী সোলেডারে তাদের সৈন্যরা রুশ ওয়াগনার বাহিনীর ‘সবচেয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া’ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত বুধবার ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন দাবি করেন, সোলেডার শহরটি তার বাহিনী দখল করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, রুশরা তাদের হাজার হাজার লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি। এক সংবাদ ব্রিফিংএ তিনি আরো বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সেনা অবস্থান বাড়াচ্ছে। হান্না মালিয়ার বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনে রুশ সেনা ইউনিটের সংখ্যা ছিল ২৫০টি।
তবে মস্কো এখন এক কৌশলগত উদ্যোগ নিয়ে ইউনিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০টি করেছে। এসব ইউনিটে নতুন নিয়োগ পাওয়া সৈন্যরা রয়েছে বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়। প্রায় ১০,০০০ লোকের বাসস্থান লবণের খনিসমৃদ্ধ শহর সোলেডার রুশ দখলে চলে গেলে তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুট শহরটি ঘিরে ফেলতে রুশ সৈন্যদের সহায়তা করবে।
এর ফলে বাখমুট শহরটিতে রসদপত্র সরবরাহের জন্য নিকটবর্তী স্লোভিয়ানস্কের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথটিও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাছাড়া সোলেডারের খনির গভীর সুড়ঙ্গগুলোর নেটওয়ার্ককে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ঢুকতে ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।