সোনালী যুগের কথা মনে আছে তো সবার। সময়টা ছিল বিংশ শতাব্দীর পূর্বে। সে সময় সবকিছু হাতের মুঠোয় থাকলেও, লোভ লালসা ছিল শত্রু। সাদা কালো জীবন, তবুও বেশ ভালই। হিংসা, ক্রোধ, ক্ষোভ হীন জীবনে এক জনের বিপদে অন্যজনের এগিয়ে আসা। মানব হৃদয়ে বিরাজমান শিক্ষা ও সংস্কৃতি। যোগ্যদের কদর দেওয়া অন্যদিকে অযোগ্যদের হেয় নই বরং সমান তালে পা বাড়ানোই উপদেশ দেয়া মূল উদ্দেশ্য। সকল উপার্জনক্ষেত্রের আয় বর্তমানের চেয়ে তুচ্ছ হলেও সবাই মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিল। পরিবার ছিল সিনিয়রদের সম্মানে একত্রিত। সামান্য বিপদেও বাঁচার স্বপ্ন ছিল প্রতিনিয়ত। প্রকৃতিকে নব রূপে বাঁচিয়ে, প্রকৃতির নির্ভরতায়, অপরকে ঠকানোর ভাবনা চিন্তা দুর্লভ। আবেগ, ভালোবাসাময় বৈচিত্র্য সময় সোনালী যুগ।আজ আমাদের বিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগ। প্রতিযোগিতাপূর্ণ জীবন দশা। সবক্ষেত্রে একে অপরকে হারানোর ভাবনায় দিন শেষ করে। নিজ স্বার্থ মূল লক্ষ্যে। ভালো মন্দ পৃথিবীতে বিদ্যমান। তবে বর্তমানে মন্দের ভাগটা একটু বেশি যা ক্ষমতা দখলে প্রতীয়মান আর ক্ষীণ ভালোরা লোক চক্ষুর অন্তরালে। আজ আর্থিক ব্যবধান আকাশ-পাতাল, প্রতিভা হিংসাত্মক, সাহায্য আত্মকেন্দ্রিক। শুরুর শেষ অনিবার্য। করোনা ভাইরাসে কি ডিজিটাল ধ্বংস হতে চলেছে? আবার কি সোনালী যুগ আসছে? যা মানব দশায় দৃশ্যমান। এপারে স্রোতের গতি ক্ষমতা বলে বাধা দিলে ওপারে বন্যা সুনিশ্চিত। যা ভালো তা হওয়া শ্রেয়। তাই প্রকৃতি বিচার করুক মানব জীবন দশা, সময়টা সোনালী হোক বা ডিজিটাল।