যশোরের ঝিকরগাছায় নিখোঁজ এক শিশুর লাশ বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, শিশুটির কানে থাকা সোনার দুলের লোভেই প্রতিবেশি নারী তাকে হত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মাটিকোমরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মসজিদের পিছনের বাঁশ বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান। নিহত ১০ বছরের শিশু মোছা. সাদিয়া খাতুন ওই গ্রামের বাবলুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে শিশুটির প্রতিবেশি ও চাচাতো ফুপু সম্পর্কের চম্পা বেগমকে (২৪)। তিনি ওই গ্রামের আনিছুর মোড়লের মেয়ে। খবর বিডিনিউজের।
সাদিয়ার দাদা ফজলুর রহমান ফজু মোড়ল বলেন, সাদিয়াকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতে দেখা গেছে। তারপর তাকে আর দেখা যায়নি। দিনভর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান আমরা পাইনি।
ওসি বাবলুর বলেন, খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সাদিয়ার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এ সময় তারা চম্পা খাতুনের ওপর তাদের সন্দেহের কথা জানান। পরে চম্পার পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদিয়ার সোনার কানের দুল কেড়ে নিতে পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেন চম্পা। পরে তার তথ্য মতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাঁশ বাগান থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, চম্পা প্যাথেড্রিনসহ নানা ধরনের মাদক সেবন করে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে সে এই জঘন্য কাজটি করতে পারে।
নিহত শিশুর মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।