ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আবার কখন আসবে তা এখনও অনিশ্চিত। ভারতে করোনার অবস্থা এখনও খারাপ থাকায় এই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
তিনি বলেন, “ভারতে করোনার অবস্থা এখনও করুণ। এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।” বাংলানিউজ
আজ রবিবার (২০ জুন) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের হাইকমিশনার এ অনিশ্চয়তার কথা জানান।
এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান।
বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি।
বের হয়ে যাওয়ার সময় সেরাম ইন্সটিটিউটের করোনার টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “আমরা টিকা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। সেই সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে।”
তিনি বলেন, “উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি টিকা উৎপাদন বাড়লে এটা চলমান থাকবে কিন্তু ভারতে করোনায় অবস্থা এখনও করুণ। সুতরাং, পরবর্তীসময়ে এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।”
যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে যুবলীগ এক অদ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অফিস পরিদর্শনের জন্য আগেই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য উপস্থিত হতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের যুবকদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো। যুবলীগের সাহায্যে তরুণদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো এবং ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, তরুণ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু এবং সুসময়েরও সঙ্গী। সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের যুব সমাজের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে যাতে ভবিষ্যতে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করতে পারি সেই বিষয়গুলো নিয়ে আজ ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের তাদের বাস্তবতার কথা বলেছেন। আমরাও আশা করেছি কীভাবে টিকা পেতে পারি। আর টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কীভাবে আমরা সামনে কাজ করতে পারি। আমাদের শিল্পোদ্যোক্তরা যেন কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা মামুনুর রশীদ, মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), খালেক শওকত আলী, রফিকুল ইসলাম এনামুল হক খান, সুব্রত পাল, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।