এ ভুবনে মা–বাবার মতো ত্যাগী, মায়া–মমতাবান আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক কথায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একমাত্র মা–বাবার হাত ধরেই পাওয়া যায়। তাঁরা কেবল নিজেদের সর্বস্বটা বিলিয়ে দেন সন্তানকে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য। দিন শেষে মা–বাবা কী পাচ্ছেন? পাচ্ছেন নিঃসঙ্গতা, অবহেলা, তিরস্কার, অযত্ন। কিন্তু কেন? নিজেকে যদি নিজে প্রশ্ন করি বা একটু পেছনে স্মৃতির আর্কাইভ থেকে ঘুরে আসি তাহলে দেখতে পাই শত কষ্টের মাঝেও মা–বাবা সন্তানের চাহিদা পূরণ করার শেষ চেষ্টাটা করেছেন। শিশুকাল থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের শেখাতে হবে মাতা–পিতার প্রতি বিনয়, ভক্তি ও শ্রদ্ধাবোধ।
সন্তানরা নিজ নিজ কর্ম নিয়ে বেশি ব্যস্ত। অথচ মা–বাবাদেরও কর্ম ব্যস্ততা ছিল, তাই বলে তাঁরা সন্তানদেরকে ত্যাগ করেননি বরং আগলেই রেখেছেন, বড় করে মানুষ করেছেন। হায়রে মানুষ! সেই সন্তানরা আজ মা–বাবাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আবার কারো কারো ভাগ্যে জুড়িয়ে দিয়েছে বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাবন্দী।
আর নয় বৃদ্ধাশ্রম। আসুন আমরা সকলে মিলে মা–বাবার জন্য কিছু একটা ভাবার চেষ্টা করি, নিজেকে নিজে পরিবর্তন করি। মা–বাবা, পরিবার পরিজনকে নিয়ে একই সাথে একই বাড়িতে থাকি। তাদের সাথে কিছুটা সময় কাটাই। মা–বাবা যতদিন বেঁচে আছেন তাঁদের পাশে থাকি। তাঁদের সেবা যত্ন করি।