সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে চুক্তি বাতিল : মেয়র

‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পে বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

বাসাবাড়ি থেকে সরাসরি ময়লা সংগ্রহে ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে গাফেলতির অভিযোগ এসেছে জানিয়ে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তাদের সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত শর্ত মেনে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। গতকাল রোববার টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডোর টু ডোর প্রকল্পের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে মেয়র বলেন, সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের চুক্তি বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে ডোর টু ডোর প্রকল্প বন্ধ করে পূর্বের নিয়মে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যে প্রকল্প সেবা নিশ্চিত করে জনগণের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না তা প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো যাতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের দিয়ে কাজ না করে তাদের নিজস্ব কর্মী দিয়ে কাজ করে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। শাহাদাত বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা পড়ে থাকার অভিযোগ পেয়েছি। পরিচ্ছন্নকর্মীরা যদি সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে ময়লা থাকার কথা নয়। যেসব ওয়ার্ডে ঠিকমতো পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বদলি করা হবে। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করব এবং যেখানে দুর্বলতা দেখব সেখানে ব্যবস্থা নেব।

কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডোর টু ডোর প্রকল্প আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আপনারা গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, আপনারাই আমার মূল শক্তি। শহর পরিষ্কার রাখা আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। কোনো জায়গায় ময়লা পড়ে থাকতে দেখলে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে যন্ত্রপাতি ও তদারকি ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি ও উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬