সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটক নিয়ে ফেরার পথে দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে একটি জাহাজের পর্যটকদের মধ্যে চরম আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ে এমভি পারিজাত নামের জাহাজটি হেলতে–দুলতে থাকলে জাহাজের ২৪০ জন পর্যটক এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের টেকনাফের এসআই সিরাজুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজের।
টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌ–পথে চলাচলকারী ওই জাহাজে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, জাহাজটিতে প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক ছিল। সেন্টমার্টিন জেটি থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়লে জাহাজটি প্রচণ্ডভাবে দুলতে থাকে। এই সময় জাহাজে থাকা শিশু, নারী ও পুরুষ পর্যটকের অনেকে কান্নাকাটি ও বমি করেন। অনেকেই লাইফ জ্যাকেট পরার জন্য ছোটাছুটি করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি পারিজাত জাহাজে প্রায় দুইশ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন জাহাজে গত সোমবার বেড়াতে যাওয়া অর্ধশতাধিক পর্যটকও যুক্ত হন।
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাশেদ আরও বলেন, এই জাহাজে আমাদের ৩৭ জন শিক্ষক–শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে পর্যটকেরা রক্ষা পেয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জাহাজটি টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছালে পর্যটকদের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে।
এ বিষয়ে জানতে এমভি পারিজাত টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সোহেলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের টেকনাফের উপ–পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দমকা হাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়লে জাহাজটি হেলে–দুলে চলতে থাকে। এতে পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে সব পর্যটক নিরাপদে টেকনাফে ফিরেছেন।