সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে চিকিৎসার জন্য টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে যাওয়ার পথে স্পিডবোট উল্টে মা–মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে নৌপথটির ‘গরারচর’ মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের মাঝরপাড়ার বাসিন্দা নাজির আহমেদের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৩৫) ও তার মেয়ে মাহিমা খাতুন (৬)। এই ঘটনায় পানিতে ডুবে আরো ছয়জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার শিকার অন্য আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চালকসহ আটজন স্পিডবোটটিতে করে সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ডুবোচরে উল্টে যাত্রীরা সবাই সাগরে পড়ে যায়। পরে তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম বলেন, শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণে বদরমোকাম ঘোলারচড় এলাকায় ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার সময় এই চরের কিছু অংশ দেখা গেলেও জোয়ারের সময় এটি অদৃশ্য থাকে। এই ডুবোচরেই দ্রুতগতির স্পিডবোটটি উল্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ আলভি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মা–মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।











