সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদল, জিয়াউলকে অব্যাহতি

| বুধবার , ৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন মেজর জেনারেল পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, যিনি টেলিযোগাযোগ নজরদারির সংস্থায় দায়িত্বরত ছিলেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফের (সিজিএস) দায়িত্বে আনা হয়েছে। এতদিন সিজিএসের দায়িত্ব পালন করে আসা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ড্যান্ট করে পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি)। আর এনডিসির বর্তমান কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে তার নতুন পদায়ন হবে। খবর বিডিনিউজের।

সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি করা হয়েছে। আর্টডকের বর্তমান জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী হয়েছেন নতুন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল।

গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ রদবদলের তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব২ এর উপঅধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ তিন লাশ
পরবর্তী নিবন্ধ‘স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তবে সে আর বেঁচে নেই’