কক্সবাজারে সেনানিবাস না থাকলে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এই এলাকা দখল করে নিত বলে দাবি করেছেন কক্সবাজার–৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সরকারদলীয় হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও এলাকার সংসদ সদস্য এ কথা বলেন।
মিয়ানমারের পরিস্থিতি উল্লেখ করে কমল বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি সশস্ত্র লড়াই করছে। আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে তাদের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাস না দিলে আজকে কক্সবাজার অনিরাপদ হয়ে যেত। এতদিন তারা দখল করে ফেলত। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সেনানিবাসের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন, আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা নিয়ে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করা হোক। তাহলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাড়বে, ভারতের নিরাপত্তা বাড়বে।
কক্সবাজারের হাজার হাজার মানুষ বিদেশের বিভিন্ন কারাগারে আছে দাবি করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের কারাগারে আটক অনেককে ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আটক বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফেরত আনার দাবি করছি।
কক্সবাজার জেলার যেসব প্রবাসী সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ আরব উপসাগরীয় দ্বীপে থাকেন, তারা যখন বিভিন্ন মিশনে (কূটনৈতিক মিশন) পাসপোর্ট নবায়ন করতে যায়। মিশনে থাকা কর্মকর্তারা তাদের চেনেন না বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা। জানান, তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারা বুঝে না কক্সবাজার ও রোহিঙ্গাদের ভাষার মধ্যে তফাত। মিশনগুলোতে কক্সবাজারের ভাষা বোঝা কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান কমল। মসজিদের ইমামদের চাকরি সরকারিকরণের দাবিও জানান তিনি।