সেতু নির্মাণে ভুল নকশা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নড়াইল–কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১ কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। খবর বাংলানিউজ ও বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নড়াইলে কালিয়া সেতুতে কিছু কাজ করার পর দেখা গেল আমাদের ভুল হয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে নৌকা পার হওয়া যায় না। এটার কারণে প্রধানমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এটা সবাই করবে, আমিও করতাম। আসলে এত এত কোটি টাকার কাজ হলো, ডিজাইন করব, কনসালটেন্ট আছে, ফিজিবিলিটি আছে, সিনিয়ররা আছেন। তারপরও দেখা যায় এর হাইট কম, যান চলাচল করতে হলে এর হাইট বাড়াতে হবে। জনগণের টাকা গেল, সময় গেল। এজন্য তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন আগামীতে আরও সাবধান হবেন। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকল্পের নকশা নির্ভুলভাবে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া এছাড়া সোলার প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক উচ্চতা রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারণ, সেখানে নিচে যাতে প্রচুর আলো–বাতাস চলাচল করতে পারে। প্যানেলের নিচে যাতে ফসল চাষ করা যেতে পারে।
জমি অধিগ্রহণে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ : উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ যাতে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করতে না পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল একনেক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জমির বাজার মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রকল্পের জায়গায় যাতে কেউ রাতারাতি অস্থায়ী বা বাঁশের কাঠামো তৈরি করে সেই কাঠামোর ক্ষতিপূরণ দাবি করতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রকল্প এলাকায় তাদের প্রথম সফরের সময় প্রকল্পের স্থানসমূহের ছবি তুলে রাখতে বলেন, যাতে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দাবির প্রবণতা রোধ করা যায়।