সেই রাস্তার সংস্কার কাজে বাধা দূর

ইউএনওর হস্তক্ষেপ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিমের তৎপরতায় বিশেষ বরাদ্দে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া গ্রামের বাড়ির রাস্তাটির নির্মাণ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কতিপয় ব্যক্তি। এতে কাজটি মাঝপথে বন্ধের উপক্রম হয়। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে কাজ সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালামত উল্লাহ ভূঁইয়ার কন্যা বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম গত বছরের ১১ জুন বাড়িতে বেড়াতে এসে হামিদ উল্লা সড়কটির বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ হন। এসময় তিনি এলজিইডির ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চাইলে এলজিইডি ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। সেই টাকায় গত নভেম্বরে এটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আজমীর ট্রেডার্স। তারা ইতিমধ্যে দেড় কিমি দৈর্ঘ্যের ঐ সড়কটির কাজ শুরু করে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটও করে। কিন্তু সড়কের জায়গা দখলে রাখা দুয়েকজন তাদের দখল বজায় রাখতে রাস্তার উপর নির্মাণ করা দেয়াল এবং গাছপালা কাটতে বাধা দেন। ফলে কাজ বন্ধের উপক্রম হয়। খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম অভিযান চালান। এসময় ইউএনও জায়গা দখলে রাখা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে তাকে দখল ছেড়ে দিয়ে সড়কের কাজে সহযোগিতা করতে বলেন। প্রথমে বাধা দিলেও শেষে মহিউদ্দিনসহ বাধাদানকারীরা দখল ছেড়ে দেন। এসময় ইউএনও তাদের দখলে রাখা সীমানা দেয়াল ও গাছগুলো কেটে দিতে নির্দেশ দিলে রাস্তার কাজে নিয়োজিত উপস্থিত কর্মীরা দেওয়াল ভেঙে ও গাছ কেটে কাজ শুরু করেন। একই সঙ্গে আশপাশে অন্যদের দখলে থাকা গাছ ও স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে রাস্তার অংশে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। ইউএনও বলেন, রাস্তাটি প্রশস্ত ও সুন্দর হলে গ্রামবাসীই উপকৃত হবে। সোন্দর্যবৃদ্ধি পাবে, জায়গা-জমির দাম বাড়বে। তবুও কেউ কেউ না বুঝে সড়কের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছিল।
সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা গ্রামের বাড়িতে এসে রাস্তা খারাপ দেখে এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ চান। সেই বিশেষ বরাদ্দে এটির কাজ করছে এলজিইডি। কিন্তু এতদিন যারা সড়কের জায়গা দখলে রেখেছিল তাদের বেশিরভাগই তা ছেড়ে দিলেও দুয়েকজন দখল ছাড়তে না চাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাধা দূর হলে কাজটি আবার শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. মখদুম-ই-মুলক মাশরাফীর মৃত্যুতে চবি উপাচার্যের শোক
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে পড়ে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু