.
বিসিএস ক্যাডার পরিচয় এবং জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এক নারীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে কারাগারে যান মো. মোজাম্মেলক হক। সম্প্রতি জামিনে বের হন। এরপর এবার জাল-জালিয়াতি করে কাগজপত্র বানিয়ে কর্ণফুলীর ইছানগর মৌজার ০.৪৩৭৫ একর জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন তিনি। এমন অভিযোগে গতকাল ভোক্তভোগী আবদুস শুক্কুর চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মোজাম্মেলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মোজাম্মেল চরলক্ষ্যার আজিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আবদুল হকের ছেলে। অন্যান্যরা হলেন একই এলাকার মো. মনজুর এবং ঢাকার বাড্ডা থানার পশ্চিম মেরুল বাড্ডার মুন্সী মিয়ার ছেলে ছগির আহমদ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোজাম্মেল একজন প্রতারক। জালিয়াতি করে কাগজপত্র বানিয়ে আমার মক্কেলের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। যার কারণে দণ্ডবিধির ১৪৩/৪৪৮/৪২৭/৪২০/৪২৩/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৮৫/৩৪ ধারায় আমার মক্কেল আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতও তার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
দেন। তিনি বলেন, পূর্বেও তিনি এমন কাজ করেছেন। ছেলে সন্তানকে মুসলিম হাইস্কুলে ভর্তি করিয়ে দিবেন বলে মর্জিনা আকতার নামে এক নারীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। উক্ত প্রতারণার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সাক্ষরও জাল করেন তিনি। তখন কোতোয়ালি থানা তাকে গ্রেপ্তারও করেন।