‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ ওঠা কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া উত্থাপিত ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সচিব খালেদ মাহমুদ এবং তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিষক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বিষয়টি সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেন।
সাময়িক বরখাস্ত : সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে যৌন হয়রানির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগে সংযুক্ত প্রধান শিকক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রসহ ইলেক্ট্রনিঙ মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা থাকায় চাকরি বিধিমালা ২০১৯ এর ৫৫ ধারা মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
তদন্ত কমিটি : চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা ও শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা। প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির বিষয়ে সংবাদ প্রচারের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ এনে মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে গত রোববার প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই শিক্ষকের দিকে পানির বোতল, বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ ছুঁড়ে মারতে দেখা গেছে। প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। একইদিন মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে দক্ষিণ পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।
জানা গেছে, এর আগে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন আলাউদ্দিন। চাকরি ফিরে পেয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে কাপাসগোলা স্কুলে যোগ দেন তিনি।