করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলেছে স্কুল-কলেজ।
দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতেও দেখা গেছে অনেককে। শিক্ষকরাও তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। ফুল দিয়ে বরণ করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের। সবাই যেন ফিরে পায় তাদের সোনালী দিনগুলো। স্কুলে স্কুলে দেখা গেছে সেই পুরনো উচ্ছ্বাস। বাংলানিউজ

ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলিমা দেবী বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমরা সবাই এক সঙ্গে মিলিত হবো কল্পনাই করতে পারিনি। করোনা মহামারী আমাদের এ পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছিল। আমরা সেই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।”
নগরীর কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদিল নূরী বলেন, “আবার প্রিয় ক্যাম্পাসে আসতে পারবো কিনা তা নিয়ে হতাশ ছিলাম। কিন্তু নিজেদের পড়ালেখা চালিয়ে নিয়েছিলাম অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে। অনেকদিন পর প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে অনেক আনন্দিত। এক সঙ্গে বসা হয়নি দীর্ঘদিন।”

করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে গত ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। অবশেষে আজ রবিবার খোলা হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর ১৯টি নির্দেশনা দিয়েছে। চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও সেই সব নির্দেশনা মানতে হবে।”