সেই পাহাড় থেকে ৪০ স্থাপনা উচ্ছেদ

সরানো হলো ২৫০ জনকে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ষোলশহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন আইডব্লিউ নামের যে পাহাড় ধসে বাবামেয়ের মৃত্যু হয়েছে সেই পাহাড়টি থেকে ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় সরিয়ে দেওয়া হয় ২৫০ জনকে। পাহাড়টি কাটার সাথে জড়িত আবদুল খালেক নামে রেলওয়ের একজন খালাসি। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তার বিষয়ে জানতে পারেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে পাঁচলাইশ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে উচ্ছেদ কার্যক্রম। চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামালের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সাথে ছিলেন তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা হলেন নু এ মং মারমা মং, রাজিব হোসেন ও মো. মাসুদ রানা।

জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল আজাদীকে বলেন, পাহাড় ধসে একজন বাবা ও তার শিশু কন্যা মারা গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করি। তাক্ষণিক তিনি পাহাড়টিতে অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আমরা অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করি। সেই সাথে বাসিন্দাদেরও অপসারণ করি। অভিযানের সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মেয়রের একান্ত সচিব, রেলওয়ের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। সিটি কর্পোরেশন, রেলওয়ে ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযানে সহায়তা করে।

তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে পাহাড় ধসের ঘটনা তদন্ত করে জানতে পারি, আবদুল খালেক এ পাহাড় কাটার সাথে জড়িত। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও জেলা প্রশাসনের কাছে আছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, যাদের মালিকানায় পাহাড় রয়েছে তাদের উচিত পাহাড় নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু তারা সেটি করছেন না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে মানুষ সেখানে বসবাস করছেন। রেলওয়েসহ অন্যান্য সেবা সংস্থার মালিকানাধীন পাহাড়গুলো নিজেরা নিয়ন্ত্রণে রাখলে দুর্ঘটনার সুযোগ থাকত না।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় সতর্ক করতে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁিকপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতি বৃষ্টিতে চলেনি চবির শাটল
পরবর্তী নিবন্ধবিনা বেতনের গেটম্যান কয়েকদিন ধরে অনুপস্থিত