পাচার করা টাকা কর দিয়ে দেশে ফেরত আনা যাবে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পাচারীদের এমন সুবিধা দিলেও ওইসব টাকা দেশে ফেরত আসবে না বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গতকাল রোববার ব্র্যাক সেন্টারে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২০২৩ : পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদ সদস্যদের অর্ধেকের বেশি ব্যবসায়ী হওয়ায় আগামী অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেট হয়েছে ধনীশ্রেণি বান্ধব। এ বাজেটের মাধ্যমে অনৈতিকতা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
ইফতেখারুজ্জমান বলেন, পাচারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে বাজেটে সংবিধানবিরোধী অবস্থানকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ফলে বৈষম্য বাড়বে এবং আইনের শাসন নষ্ট হবে। সেসঙ্গে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে, তাহলে সরকার কী অর্থ পাচার আইন বাতিল করে দিলো? এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকার একদিকে দেশে যেমন সমালোচনার মুখে পড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়বে। কারণ বাংলাদেশ অর্থপাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা, এগমন্ড গ্রুপের সদস্য।