ইসলামের পুনরুজ্জীবনদাতা গাউসুল আজম দস্তগীর বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রা.)। তাঁর সুফিবাদী দর্শন ও সাধনা সারা পৃথিবীর মানুষকে আধ্যাত্মিক চেতনা ও পরিশুদ্ধ জীবনে উজ্জীবিত করেছে। গাউসুল আজম বড়পীর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কাদেরীয়া তরিকা মুসলমানদের সত্যবাহী পতাকায় ঐক্যবদ্ধ করেছে। সমস্ত বাতুলতাকে দূরীভূত করেছে। বিংশ শতকে ভারত উপমহাদেশে কাদেরীয়া তরিকার বিশুদ্ধ প্রচার ও বিকাশে আওলাদে রাসুল আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (র.), আল্লামা হাফেজ কারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গত বুধবার রাতে নগরীর বহদ্দার হাটস্থ এ.কে কনভেনশন হলে দাওয়াতে খায়র কর্মসূচির আওতায় ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম, মা ছাহেবার ওরশ উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন। আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) প্রধান সাদেক হোসেন পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমান এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অ্যাসিস্টেন্ট জয়েন্ট সেক্রেটারি এস.এম. গিয়াস উদ্দিন সাকের। প্রধান আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দরসে নিজামির প্রধান আল্লামা হাফেজ সোলায়মান আনসারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার। জামাল উদ্দিন সুরুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের ফেলো সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আল্লামা সৈয়দ জালাল উদ্দিন আল আজহারী, মাওলানা ইউনুচ তৈয়বী, মাওলানা কফিল উদ্দিন, আনজুমান সদস্য ও গাউসিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলার সভাপতি কমরুদ্দিন সবুর। উপস্থিত ছিলেন, শেখ আহমদ, আশেকে রসুল বাবু, মোহাম্মদ হোসাইন খোকন, হাবিবুল্লাহ মাস্টার, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মনোয়ার হোসেন মুন্না, ইদ্রিস চেয়ারম্যান, ওসমান গণী, এইচ এম আজহারুল হক আজাদ, আমিনুল হক, আবুল হাশেম, রাশেদুল মোমেনিন, তৌহিদুল করিম, জাহাঙ্গীর আমির হোসেন, জাহাঙ্গির আলম রাজু প্রমুখ।