সুফিবাদ ধর্মের সংকীর্ণতা, গোঁড়ামি ভেঙে মন পরিচ্ছন্ন করে

ঢাবিতে সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী স্মারক বক্তৃতা

| মঙ্গলবার , ২০ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (.) এঁর পবিত্র স্মৃতির স্মরণে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিআইআরআই) উদ্যোগে এবং ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মারক বক্তৃতা। মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় স্মারক বক্তৃতায় বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআইআরআইর ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব বিভাগের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. ফাজরীন হুদা ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহ কাউসার মোস্তফা আবুলুলাইয়া।

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুফিগণ মনে করেনঅন্তরের লুকায়িত আত্মাকে জানাই জীবনের মূললক্ষ্য। সুফিসাধকগণ সে সত্যকে লাভ করেই ক্ষান্ত হন না, বরং সেই সত্যের সঙ্গে নিজেকে লিপ্ত করেন, যাকে সুফি পরিভাষায় ‘ফানাফিল্লাহ ও বাকা বিল্লাহ’ বলা হয়। সুফিরা মনে করেন ইসলাম বিশেষ কোনো শ্রেণি, জাতি বা সমপ্রদায়ের জন্য নয়, বরং তা সকল জাতি, সকল প্রাণি ও সকল সৃষ্টির জন্য এক আত্মিক তাগিদ।

স্বাগত বক্তব্যে সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, সুফিবাদ ধর্মের সংকীর্ণতা, গোঁড়ামী ও বেড়াজাল ভেঙ্গে পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে সবাইকে আপন করে নিতে সদাপ্রবৃত্ত। আর এই জন্যই মনের মলিনতা দূর করে দেশ হতে দেশান্তরে ধাবিত হয়েছে তাপিত জনের দুঃখ নিবারণে।

এর আগে সোমবার সকালে ঢাবি আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে এবট্রাক্ট লিখনের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা ফেসিলেটর ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আবু সায়েম ও চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাজা আবদুর রহমান চৌহরভীর (রহ.) ওরশ আজ
পরবর্তী নিবন্ধযেভাবে নারীদের গলার চেইন ছিনতাই করে তারা